Mohun Bagan and East Bengal Supporters' Protest

ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের জমায়েতে অশান্তির পরিকল্পনা! দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক জন দুষ্কৃতী মিলে রবিবার দুই প্রধানের জমায়েতে অস্ত্র এবং বোমা নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করা পরিকল্পনা করেছিল। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল সমর্থকদের বদনাম করা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০০:৩৪
আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের জমায়েত।

আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের জমায়েত। ছবি: পিটিআই।

আরজি কর-কাণ্ডে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মূল ফটকের বাইরে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতে অশান্তির পরিকল্পনা করায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। ধৃতদের নাম রাকেশ পাল এবং শেখ সলমন। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে এই অশান্তির ছক ভেস্তে দিয়েছে পুলিশ নিজেদের ফেসবুক পেজে এই কথা জানিয়েছে তারা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দু’জনের মধ্যে রাকেশের বাড়ি মানিকতলার বাগমারি এলাকায় এবং সলমন ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। কয়েক জন দুষ্কৃতী মিলে রবিবার দুই প্রধানের জমায়েতে অস্ত্র এবং বোমা নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করা পরিকল্পনা করেছিল। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল সমর্থকদের বদনাম করা। গোপন সূত্রে কলকাতা পুলিশের হাতে এ বিষয়ে বেশ কিছু অডিয়ো ক্লিপ আসে। সেই সব অডিয়োর ভিত্তিতেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

রবিবার ছিল ডুরান্ড কাপ ডার্বি। কিন্তু তার আগের দিন শনিবার জানিয়ে দেওয়া হয় রবিবার ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ হচ্ছে না। ডুরান্ড কাপের আয়োজকদের সঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কর্তাদের বৈঠকে ডার্বি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, আরজি কর কাণ্ডের জেরে শহরের বিভিন্ন জায়াগায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়ে করা রয়েছে। এর ফলে ডার্বির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়। ডার্বিতে দুই প্রধানের সমর্থকেরাই আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে টিফো বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। এই ধরনের টিফো পরিস্থিতি জটিল করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল পুলিশ-প্রশাসন। কিন্তু তাতেও দমে যাননি দুই দলের সমর্থকেরা। রবিবার বিকেলে তাঁরা জড়ো হন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মূল ফটকের বাইরে। আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে হয় জমায়েত। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে রবিবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করাও হয় তাতেও দমানো যায়নি সমর্থকদের। বিধাননগর পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই মিছিলে অশান্তির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। কারণ গোপন সূত্রে তাঁরা জানতে পেরেছিলেন, কিছু দুষ্কৃতী ওই শান্তিপূর্ণ মিছিলে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়তে পারে। বিশৃঙ্খলা এবং অশান্তি তৈরি করতে পারে। এর পরেই দু’জনকে গ্রেফতারের কথা জানাল রাজ্য পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement