SSC Job Loss Teachers' Protest

চাকরিহারাদের লাথি মেরেছেন, সেই এসআইকেই কসবাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দিল লালবাজার! পুলিশের সিদ্ধান্তে ফের বিতর্ক

কসবায় চাকরিহারাদের বিক্ষোভের ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তার তদন্ত করবেন এসআই রিটন দাস। এই রিটনকেই গত বুধবার ভাইরাল ভিডিয়োতে কসবার ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের লাথি মারতে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫৩
(বাঁ দিকে) কসবায় ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারাদের পুলিশের লাথি। এসআই রিটন দাস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) কসবায় ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারাদের পুলিশের লাথি। এসআই রিটন দাস (ডান দিকে)। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

কসবায় চাকরিহারাদের বিক্ষোভের ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তার তদন্ত করবেন এসআই রিটন দাস। চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে মামলায় তাঁকে তদন্তকারী অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই রিটনকেই গত বুধবার ভাইরাল ভিডিয়োতে কসবার ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের লাথি মারতে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।

Advertisement

‘যোগ্য’ চাকরিহারা প্রার্থীরা বুধবার জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযান করেছিলেন। কসবায় সেই অভিযানে গোলমাল হয়। অভিযোগ, ডিআই নিজের দফতরে ছিলেন না। বরং তাঁর দফতর তালাবন্ধ ছিল। মিছিল করে সেখানেই যান চাকরিহারারা। অভিযোগ, কেউ কেউ তালা ভেঙে দফতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ওই ঘটনার পর ডিআই নিজে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। লালবাজার সূত্রে খবর, সেই মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে রিটনকে।

কসবার ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থীর বুকে পা তুলে দিয়েছেন পুলিশের এক কর্তা। অভিযোগ, তিনিই এসআই রিটন। ওই দিন কলকাতা পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। তিনি জানিয়েছিলেন, বিনা প্ররোচনায় পুলিশের উপর হামলা হয়েছিল। তবে যা ঘটেছে, তা কাম্য নয়। লাথি মারার ভিডিয়ো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই ঘটনার আগে পরে আরও কিছু ঘটেছিল। পুলিশের ছ’জন আহত হয়েছেন। পরে বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করে পুলিশ। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের এক জন বলছেন, ‘‘পেট্রল নিয়ে আয়, জ্বালিয়ে দেব।’’ পরে ওই মন্তব্যের কথা অস্বীকার করেন চাকরিহারারা।

Advertisement
আরও পড়ুন