TMC

জলকষ্ট আর বেহাল পথ নিয়ে সরব তৃণমূলের তিন পুরপ্রতিনিধি

শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অরিজিৎ দাসঠাকুর নিজের প্রস্তাবে জানান, তাঁর ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় প্রবল জলকষ্ট দেখা দিয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ০৭:২৯
tmc

—প্রতীকী ছবি।

শহরের বিভিন্ন রাস্তার বেহাল দশা এবং জলসঙ্কটের সমস্যার কথা এ বার শোনা গেল খোদ শাসকদলের পুরপ্রতিনিধিদের মুখে। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অরিজিৎ দাসঠাকুর নিজের প্রস্তাবে জানান, তাঁর ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় প্রবল জলকষ্ট দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। আবার ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি বিশ্বজিৎ মণ্ডলের খেদ, তাঁর ওয়ার্ডে সাত বছর ধরে নিকাশির কাজ চলায় রাস্তার বেহাল দশা। যার জেরে বাসিন্দাদের ভুগতে হচ্ছে। এই দুই সমস্যার কথাই স্বীকার করে নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘গড়িয়ায় জল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড উপকৃত হবে। কেইআইআইপি-র উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে নিকাশির কাজ সময়ে শেষ করা যাচ্ছে না।।’’

Advertisement

১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি তাঁর প্রস্তাবে বলেন, ‘‘১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের মণ্ডলপাড়া, মহেন্দ্র মণ্ডল রোড, হসপিটাল রোড এবং কালিকাপুর সংলগ্ন অঞ্চলে প্রবল জলাভাব দেখা দিয়েছে। বাসিন্দাদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে।’’ মেয়রকে তিনি বলেন, ‘‘কালিকাপুরের মাতঙ্গিনী হাসপাতালের পরিত্যক্ত জমিতে জলাধার নির্মাণের জন্য জমি হস্তান্তরের কাগজপত্র সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অনুমোদন এসে পৌঁছয়নি। জলাধার তৈরির বিষয়টি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সেটা আপনি একটু দেখুন।’’

অন্য দিকে, ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধির অভিযোগ, ‘‘১১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৭ সালে নিকাশির কাজ শুরু হলেও এখনও তা শেষ হয়নি। যে অংশে কেইআইআইপি নিকাশির কাজ শেষ করেছে, সেখানে রাস্তার বেহাল অবস্থা চোখে পড়ার মতো।’’ বিশ্বজিতের প্রস্তাব সমর্থন করে ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি অনিতা কর মজুমদারের অভিযোগ, ‘‘আমার ওয়ার্ডের অধিকাংশ জায়গায় রাস্তার হাল খুব খারাপ। লোকসভা ভোটের আগে মানুষের কাছ থেকে এ নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে। অবিলম্বে রাস্তা সারাই না হলে বিপদ আসন্ন।’’

বেহাল রাস্তা প্রসঙ্গে মেয়রের ব্যাখ্যা, ‘‘কেইআইআইপি-র গাফিলতির কারণেই নিকাশির কাজে দেরি হচ্ছে। এ বার থেকে পুরসভা কেইআইআইপি-র কাজের উপরে নজরদারি চালাবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement