Hilsa Fish

পদ্মার ইলিশে ‘অগ্রাধিকার’ ও পারের, স্পষ্ট করল অন্তর্বর্তী সরকার, তবুও আশায় সৌরভ

হাসিনা সরকারের আমলে দুর্গাপুজোর আগে ইলিশ রফতানি করা হত। এ বারও কি হবে? বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বলে দিয়েছে, আগে সে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করা হবে। তার পরে রফতানির ভাবনা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৪ ১৮:২১
Sourav Ganguly says he is hopeful about export of hilsa from Bangladesh dgtl

পদ্মার ইলিশ নিয়ে আশাবাদী সৌরভ। —ফাইল চিত্র।

ইলিশের মরসুম চলছে। সামনেই দুর্গাপুজো। বিগত কয়েক বছর ধরে পুজোর সময় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ‘উপহার’ আসাটা ছিল দস্তুর। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কি সেই ‘ঐতিহ্য’ বজায় থাকবে? আশায় এ পার বাংলার কোটি কোটি বাঙালি। তবে পদ্মাপারের নতুন অন্তবর্তী সরকার জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের ইলিশে ‘অগ্রাধিকার’ সে দেশের মানু‌ষেরই। তার পর রফতানি। ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, এ বার দুর্গাপুজোয় ইলিশ আদৌ আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আরও বাড়ল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। অন্য দিকে, ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আশাবাদী, শীঘ্রই এ পার বাংলার মানুষ পদ্মার ইলিশের স্বাদ পাবেন।

Advertisement

পদ্মাপারের ইলিশ ঘিরে অনিশ্চয়তা নিয়ে রবিবার সৌরভকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আশা করা যায় খুব দ্রুত বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আশা করি, খুব দ্রুত বাংলার মানুষ আবার পদ্মার ইলিশ খাবেন।” উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজোর মুখে এ দেশে ইলিশ পাঠিয়েছে হাসিনা সরকার।

তবে এ বার পরিস্থিতি বদলেছে। হাসিনার পতন হয়েছে। গঠিত হয়েছে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ‘‘আগে বাংলাদেশের মানুষের ইলিশের চাহিদা পূরণ করা হবে, তার পর রফতানি।’’ রবিবার তিনি বলেন, “দেশের মানুষ যাতে কম দামে ইলিশ পান, তা আগে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবেন না, অথচ রফতানি হয়ে যাবে, এটা হতে পারে না।” ইলিশ রফতানি যে একেবারেই হবে না, এমন কোনও মন্তব্য অবশ্য করেননি তিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement