World Preeclampsia Day

প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়ায় মৃত্যুও হতে পারে অন্তঃসত্ত্বার! সচেতনতার বার্তা দিল ‘সোসাইটি অফ ফিটাল মেডিসিন’

বিশ্ব প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া দিবসে সচেতনতার বার্তা দিল আন্তর্জাতিক মঞ্চ ‘সোসাইটি অফ ফিটাল মেডিসিন’ (এসএফএম)। প্রসূতিদের ‘ফিটাল মেডিসিন’ সংক্রান্ত চিকিৎসার কাজ করে তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৪ ২১:২০
আন্তর্জাতিক মঞ্চ ‘সোসাইটি অফ ফিটাল মেডিসিন’ (এসএফএম)-এর লোগো।

আন্তর্জাতিক মঞ্চ ‘সোসাইটি অফ ফিটাল মেডিসিন’ (এসএফএম)-এর লোগো। ছবি: সংগৃহীত।

বিশ্ব প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া দিবসে সচেতনতার বার্তা দিল আন্তর্জাতিক মঞ্চ ‘সোসাইটি অফ ফিটাল মেডিসিন’ (এসএফএম)। প্রসূতিদের ‘ফিটাল মেডিসিন’ সংক্রান্ত চিকিৎসার কাজ করে তারা।

Advertisement

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ৪০ সপ্তাহ ধরে মা ও তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের সুস্থতার বিষয়ে আগাগোড়া নজরে রাখেন চিকিৎসকেরা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সেই সংক্রান্ত অন্যতম বড় সমস্যা ‘প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া’। এটি এক ধরনের গর্ভধারণকালীন জটিলতা। যা পরে প্রাণঘাতীও হতে পারে।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়ার লক্ষণ সচরাচর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে প্রস্রাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রোটিন বৃদ্ধি হতে দেখা যায়। গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের পর যদি কারও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ও প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন নিঃসরণ হয়, তখনই তাঁকে প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়ার রোগী বলা হয়ে থাকে। তবে সন্তান প্রসবের পরেও প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকে ‘পোস্টপ্যাটার্ম প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া’ বলা হয়।

অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জটিলতা নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিয়েছে এসএফএম। তাদের বক্তব্য, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিয়মিত ফিটাল মেডিসিনের চিকিৎসককে দেখানো অত্যন্ত জরুরি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা দেখা জরুরি। পাশাপাশি, চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের উদ্দেশে তাদের পরামর্শ, তাঁরা যেন প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সাম্প্রতিক গবেষণা নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকেন। যাতে কোনও ক্ষেত্রেই এই রোগ চিহ্নিত করতে বিলম্ব না হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement