Water logging in Kolkata

প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বহু এলাকা, উত্তর থেকে দক্ষিণ দুর্ভোগ পাড়ায় পাড়ায়, বড় রাস্তায়

প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজের দফতরে বসে কলকাতায় জমা জলের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতা পুরসভার ভিতরের রাস্তাটিও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৪ ১৮:৪০
Several areas of Kolkata flooded due to heavy rains, Mayor Firhad Hakim ordered to solve the problem of water logging quickly

শনিবার বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। ছবি: পিটিআই।

প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হল কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। শনিবার দুপুরে কালো করে আসে কলকাতার আকাশ, নামে প্রবল বৃষ্টি। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতার বেশ কিছু ব্যস্ত এলাকা। যে সময় বৃষ্টি শুরু হয়, সেই সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছিলেন কলকাতা পুরসভাতেই। প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরেই তিনি নিজের দফতরে বসে কলকাতার জমা জলের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতা পুরসভার ভিতরের রাস্তাটিও।

Advertisement

কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোড, বিধান সরণি, ঠনঠনিয়া, বেহালার আনন্দনগরে জল জমে যায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা, অসীম বসু এবং ১৬ নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ পোল্লেকে নিয়ে শহরের জমা জলের প্রকৃত পরিস্থিতির কথা জানতে মেয়র যান পুরসভার কন্ট্রোল রুমে। সেখান থেকেই কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিমে লাগানো পুরসভার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জমা জলের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে অবগত হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা ভবানীপুর এবং নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দরের পরিস্থিতির উপর বিশেষ ভাবে নজর দেন মেয়র।

পরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘শনিবার যেমন কলকাতায় খুব বৃষ্টি হয়েছে, তেমনই আগামী দিনেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় জল জমেছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই কোথাও গালিপিট বন্ধ রয়েছে, এর ফলে দু’-একটি জায়গায় জল জমেছে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরে পুরসভার যে সব গ্যাং রয়েছে, তাদের দিয়ে আমরা জল নামানোর চেষ্টা করছি।’’ আগামী কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে পুরসভার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘যে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, সেই সময়তেই গঙ্গায় হাই টাইড থাকবে। তাই জল থাকবে, কারণ লকগেটগুলি সেই সময় বন্ধ থাকবে। লো টাইড হলে জল দু’তিন ঘণ্টার মধ্যে নেমে যাবে।’’ দক্ষিণের সংযুক্ত এলাকায় জমা জলের সমস্যা না মেটায় মেয়র দাবি করেন, কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের কাজ চলায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। তবে সেই কাজ হয়ে গেলে বেহালার বড়িশা ঠাকুরপুকুর অঞ্চলে জমা জলের সমস্যা পুরোপুরি কমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement