Kolkata Doctor Rape and Murder

সকাল ১০টা থেকে এখনও সিবিআই দফতরেই সন্দীপ, চলছে জেরা, পুলিশের তিন কর্তা ও কর্মীও হাজির

আরজি কর-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে তলব করেছিল সিবিআই। শুক্রবার বিকেল ৩টের পর কেন্দ্রীয় সংস্থার গাড়িতে চেপেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ১০:০৭
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সিবিআই দফতরে।

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সিবিআই দফতরে। —ফাইল চিত্র।

শুক্রবারের পর শনিবার সকালে আবার সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শুক্রবার বিকেলে তিনি সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন। গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, মাঝরাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে শনিবার ফের তলব করা হয়েছিল। সেই মতো শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ সিজিওতে যান সন্দীপ। সন্ধ্যা ৭টা পেরিয়ে গেলেও সিবিআই দফতরেই রয়েছেন তিনি। তবে সন্দীপ ছাড়াও কলকাতা পুলিশের তিন জনও সিজিওতে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন আরজি কর পুলিশ আউটপোস্টের ওসিও রয়েছেন।

Advertisement

সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সন্দীপ একটিই কথা বলেন, ‘‘আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি। দয়া করে প্রচার করবেন না যে, আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ বেশ কিছু নথি নিয়ে তাঁকে সিজিওতে ঢুকতে দেখা গিয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৩টের পর সিবিআইয়ের গাড়িতে চেপে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেছিলেন সন্দীপ। সূত্রের খবর, তাঁকে রাস্তা থেকে গাড়িতে তোলে সিবিআই। সন্দীপকে আগেই তলব করা হয়েছিল। শুক্রবারই আদালতে সন্দীপের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, সিবিআই তলবে হাজিরা দিতে চান সন্দীপ। কিন্তু তিনি নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। এর পর সিবিআই গাড়িতে করে তাঁকে দফতরে নিয়ে যায়। গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন সন্দীপ।

আরজি করে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পরেই সন্দীপের নাম প্রকাশ্যে আসে। চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, সন্দীপ অত্যন্ত প্রভাবশালী। এই তদন্ত প্রক্রিয়াকেও তিনি প্রভাবিত করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠেছিল আরজি কর থেকে। এর মাঝে গত সোমবার সন্দীপ সংবাদমাধ্যমের সামনে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমাও দেন। আরজি করের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকের পদ ছেড়ে দেন সন্দীপ।

তার পরেই সন্দীপকে আবার অন্য একটি সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত সন্দীপকে লম্বা ছুটিতে যেতে নির্দেশ দেয়। তার পর থেকে ছুটিতেই আছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

আদালতের নির্দেশে আরজি করের ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তলব করেছিল তারা‌। সে দিন তিনি হাজিরা দেননি। তার পর শুক্রবার সিজিওতে পৌঁছন। পর পর দু’দিন হাজিরা দিলেন সন্দীপ।

আরও পড়ুন
Advertisement