ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত সব বিষয় থেকে সরে দাঁড়ালেন সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে লিখিত ভাবে তা তিনি জানিয়েও দিয়েছেন। সম্প্রতি চিরঞ্জীববাবুর বিরুদ্ধে পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন আবুটা। সূত্রের খবর, তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত।
সহ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে নাম করে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হলেও আবুটা নেতা তরুণকান্তি নস্কর জানান, তাঁরা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি। সহ-উপাচার্য হিসাবে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকার জন্যই তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উপাচার্যকে লেখা চিঠিতে সহ-উপাচার্য জানিয়েছেন, করোনার সময়ে পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলে আলোচিত হয়েছিল। কর্মসমিতিতেও কথা উঠেছিল। কিন্তু পরীক্ষা বোর্ডে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। উপাচার্য আগেই জানিয়েছিলেন, নিয়মের বাইরে কাজের অভিযোগ আর দুর্নীতি সমার্থক নয়। কোভিড পরিস্থিতিতে ছাত্র-স্বার্থে সহ-উপাচার্য যদি কিছু করেও থাকেন, সেই দায় শুধু তাঁর নয়, সমগ্র প্রশাসনের। এ দিন সুরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্ব এ বার থেকে পরীক্ষা নিয়ামক দফতর ও তাদের বিভিন্ন কমিটির।
উপাচার্য আরও জানান, পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রতাপকুমার রায়কে নিয়ে কমিটি তৈরি হয়েছিল। কমিটি পুলিশি তদন্ত করানোর পরামর্শ দিয়েছে। তদন্ত চলাকালীন ওই কর্মীকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমাদেরও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সহ-উপাচার্য, যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক, তিনি দুর্নীতি করেছেন এমন তথ্য কাছে নেই।’’