Man Beaten to Death in Bowbazar

বৌবাজারের ছাত্রাবাসে ইরশাদের মৃত্যু কী ভাবে? ময়নাতদন্তে পিটিয়ে খুনেরই চিহ্ন দেখতে পাচ্ছে পুলিশ

শুক্রবার বৌবাজারের ছাত্রাবাসে মোবাইল চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঠিক কী ভাবে মৃত্যু যুবকের, তার ইঙ্গিত দিল পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ১৯:৫৭
বৌবাজারের এই হস্টেলে যুবককে গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে।

বৌবাজারের এই হস্টেলে যুবককে গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে। — নিজস্ব চিত্র।

বৌবাজারের ছাত্রাবাসে ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হয়েছিল ইরশাদ আলমের, তারই ইঙ্গিত দিল পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, ‘হাইপোভলিউমিক শক’-এর কারণে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। হার্ট-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত বা ‘ফ্লুইড’ (তরল পদার্থ) না পৌঁছলে এই শারীরিক অবস্থা তৈরি হয়। মনে করা হচ্ছে, শরীরে একাধিক আঘাতের কারণে এ রকম হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার বৌবাজারের ছাত্রাবাসে মোবাইল চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শনিবার তাঁদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশের তরফে ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করা হয়। আদালত জানিয়েছে, আপাতত আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে।

৩৭ বছরের ইরশাদ বেলগাছিয়ার বাসিন্দা। চাঁদনি চক এলাকায় একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। অভিযোগ, বৌবাজারে উদয়ন হস্টেলের সামনের রাস্তায় শুক্রবার সকালে তাঁকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, আগের দিন ওই হস্টেলের এক জনের মোবাইল চুরি গিয়েছিল। ইরশাদকে দেখে ছাত্রদের সন্দেহ হয় এবং তাঁরা তাঁকে ফুটপাথ থেকে টেনেহিঁচড়ে ভিতরে নিয়ে যান। অভিযোগ, হস্টেলের ভিতরে তাঁকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে বৌবাজার থানার পুলিশ পৌঁছলে প্রথমে দরজা খোলা হয়নি। পরে সেখানে পৌঁছয় মুচিপাড়া থানার পুলিশ। তার পর দরজা খোলা হলে পুলিশ ইরশাদকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement