Kolkata Honeytrap Case

ডেটিং অ্যাপে প্রেমের ফাঁদ পেতে প্রতারণা, মুক্তিপণের দাবি, পাটুলিতে পুলিশের জালে দম্পতি-সহ চার জন

ডেটিং অ্যাপে প্রেমের ফাঁদ পেতে আর্থিক প্রতারণা। খাস কলকাতায় পুলিশের জালে এক দম্পতি-সহ মোট চার জন। এই চক্রের নেপথ্যে আর কে বা কারা রয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখছে পাটুলি থানার পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৩:১৯

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি

ডেটিং অ্যাপে প্রেমের ফাঁদ পেতে আর্থিক প্রতারণা। খাস কলকাতায় পুলিশের জালে এক দম্পতি-সহ মোট চার জন। এই চক্রের নেপথ্যে আর কে বা কারা রয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখছে পাটুলি থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেটিং অ্যাপে এক যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল পাটুলির বাসিন্দা এক যুবকের। রবিবার অভিযুক্ত যুবতী গল্ফগ্রিন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ডেকে পাঠান ওই যুবককে। ফ্ল্যাটে আটকে রেখে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এমনকি লাঠি দিয়ে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। মুক্তিপণের টাকা চেয়ে পরিবারের সদস্যদের ফোন করেন যুবক। যুবকের পরিবার পাটুলি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনায় অন্যতম দুই অভিযুক্ত সৈকত পাল এবং বাবুসোনা মণ্ডল ফ্ল্যাটে আটক যুবকের বাইকে চেপেই রবিবার মুক্তিপণ নিতে আসেন। এনএসসি রোড এলাকায় তাঁরা এলে পুলিশ দু’জনকেই গ্রেফতার করে। বাইকটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে আরও দু’জনকে ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই যুবককেও উদ্ধার করা হয়।

অভিযুক্তদের মধ্যে সুকান্ত গল্ফগ্রিনের অরবিন্দনগর এলাকার বাসিন্দা। বাবুসোনা রিজেন্ট পার্ক এলাকার বাসিন্দা। বাবুসোনার স্ত্রী অনীশা দাসকেও এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এক অভিযুক্ত পিটার ডি’ক্রুজ়ের বাড়ি গল্ফগ্রিনে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে ফ্ল্যাটে ওই যুবককে আটকে রাখা হয়েছিল, সেটি সুকান্তের। টাকা তোলার উদ্দেশ্যেই ডেটিং অ্যাপে প্রেমের ফাঁদ পাতা হত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে সবিস্তার তথ্য পেতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement