(বাঁ দিকে) তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ এবং গুলি চালানোর মুহূর্তের দৃশ্যের সিসিটিভি ফুটেজ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা। আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশান কলোনি থেকে শুক্রবার বিকেলে মহম্মদ আলি নামে ওই ব্যক্তিকে ধরেছে পুলিশ। অভিযোগ, সুশান্তকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিনি। এমনকি, বিহার থেকে অস্ত্র আনতে এবং তা মজুত রাখতে সাহায্য করেছিলেন আলি।
গত ১৫ নভেম্বর নিজের বাড়ির সামনেই সুশান্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করেন এক আততায়ী। সেই আততায়ী যুবরাজ সিংহকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ গুলজ়ারের নাম। তাঁর সূত্র ধরেই উঠে আসে আলির নাম। ঘটনার পর থেকেই কসবাকাণ্ডে বিহার-যোগের দাবি করে আসছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছিল, গুলজ়ারই সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করতে বিহারে তাঁর এক পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ওই ব্যক্তির সাহায্যেই ‘শুটার’ ভাড়া থেকে শুরু করে অস্ত্র জোগাড় করেন গুলজ়ার। সুশান্তকে খুন করতে বিহার থেকে অস্ত্র আনা হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। সূত্রের খবর, বিহার থেকে আনা অস্ত্র রাখার বন্দোবস্ত করেছিলেন আলি। শুধু তা-ই নয়, খুনের পরিকল্পনায় সব রকম সাহায্যও করেছিলেন তিনি।
কসবাকাণ্ডে আলি ছাড়াও আরও চার জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুটার যুবরাজ, গুলজ়ার ছাড়াও এক আহমেদ আলি নামে ট্যাক্সিচালককেও গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, ফুলবাবু নামে বিহারের এক বাসিন্দাকে সপ্তাহখানেক আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনার ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে দাবি তদন্তকারীদের। পুলিশ ইতিমধ্যেই খুনের চেষ্টায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল এবং স্কুটার উদ্ধার করেছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় আরও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে সেই সব অস্ত্রের নাগাল এখনও পায়নি পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে আর কে কে জড়িত তার খোঁজও চলছে।