Case Filed SMS

মামলা রুজুর মেসেজ পৌঁছবে অভিযোগকারীর কাছে

এক পুলিশকর্তা জানান, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় অভিযোগকারী যেমন মামলা রুজু হওয়ার খবর জানতে পারবেন, তেমন ভাবেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও খবর পাবেন।

Advertisement
শিবাজী দে সরকার
শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৩
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পরেও অনেক সময়েই এই অভিযোগ ওঠে যে, পুলিশ মামলা রুজু করেনি। অনেক সময়ে আবার মামলা রুজু করলেও তা অভিযোগকারী জানতে পারেন না। এই সমস্যা মেটাতে এ বার থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরে মামলা রুজু হলে তার সরাসরি মেসেজ যাবে অভিযোগকারীর কাছে। মামলা কবে রুজু হয়েছে, মামলার নম্বর— সব কিছুই থাকবে সেই মেসেজে। এমনকি, সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে কোনও অগ্রগতি হলে তা-ও মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারবেন অভিযোগকারী। একই সঙ্গে, বিস্তারিত তথ্য সংবলিত মেসেজ যাবে তদন্তকারী অফিসারের মোবাইলেও। লালবাজার সূত্রের খবর, পুজোর আগে থেকে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানায় এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

Advertisement

এক পুলিশকর্তা জানান, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় অভিযোগকারী যেমন মামলা রুজু হওয়ার খবর জানতে পারবেন, তেমন ভাবেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও খবর পাবেন। এ ছাড়া, অভিযোগ জমা দেওয়ার পরে মামলা রুজু না করে তা ফেলে রাখার অভিযোগও ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। নতুন ব্যবস্থায় সেই অভিযোগও কমবে বলে আশা পুলিশকর্তাদের। তবে, মামলা রুজু করার পরে এফআইআর-এর কপি আগের মতোই থানা থেকে নিতে হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

লালবাজার জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশে চালু হয়েছে ‘ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক অ্যান্ড সিস্টেম’ (সিসিটিএনএস) প্রকল্প। এরই অঙ্গ হিসাবে কোন থানায়, কী মামলা রুজু হচ্ছে, তার বিস্তারিত তথ্য আপলোড করতে হয় থানাগুলিকে। সেই সূত্র ধরেই ওই মামলার বিস্তারিত তথ্য পৌঁছচ্ছে অভিযোগকারীর কাছে। এ জন্য অভিযোগ জমা নেওয়ার সময়েই অভিযোগকারীর মোবাইল নম্বর এবং ইমেল নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে সেখানে মামলার তথ্য জানানো যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারীর পাশাপাশি তদন্তকারী অফিসারও বিস্তারিত তথ্য-সহ মেসেজ পাবেন। সেই সঙ্গেই ওই মামলার কোনও নথি বা বস্তু যদি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়ে থাকে, তার খবরও থাকবে ওই মেসেজে। অর্থাৎ, তদন্তকারী আধিকারিকদের বার বার খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

আরও পড়ুন
Advertisement