Firhad Hakim & KEIIP

শহরের নিকাশি এবং পানীয় জল সরবরাহের কাজ শেষ করতে নির্দেশ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের

কলকাতা পুরসভার সংযুক্ত এলাকাগুলির জন্য তৃতীয় প্রকল্পে এক হাজার ৬৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ আসছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ২১:২৪
Mayor Firhad Hakim directs KEIIP to complete city sewerage and drinking water works

সোমবার কলকাতা পুরসভায় কেইআইপির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —নিজস্ব চিত্র।

এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট (কেইআইআইপি)-এর কাজে আগে বহুবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু এ বার কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিলেন তিনি। সোমবার বিকেলে কলকাতা পুরসভায় কেইআইআইপি-র কাজের পর্যালোচনা বৈঠক হয়। সমস্ত বরো চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পাশাপাশি বৈঠকে ছিলেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকেরা। ছিলেন কেইআইআইপি আধিকারিকেরা। সেই বৈঠকেই মেয়র কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন কেইআইআইপি কর্তাদের।

Advertisement

মেয়র বলেন, ‘‘কেইআইআইপির প্রজেক্টে পানীয় জল ও নিকাশির কাজ শেষ না করতে পারলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ব্ল্যাকলিস্ট করবে পুরসভা। ২০১৯ শেষ করার কথা ছিল সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। ডিসেম্বরের মধ্যে কেইআইআইপির কাজ না শেষ করলে কলকাতা পুরসভা সেটা করবে। কাজ শেষ না করলে সেই সংস্থা কে ব্ল্যাক লিস্ট করা হবে।’’

কলকাতা পুরসভার সংযুক্ত এলাকাগুলির জন্য তৃতীয় প্রকল্পে এক হাজার ৬৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ আসছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। সেই অর্থে ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কেইআইআইপি-কে নিশানা করে মেয়র বলেন, ‘‘আমাদের একটা ভুল হয়েছে। কেইআইআইপি একটা আলাদা বিভাগ করা হয়েছে। পুরসভার আধিকারিক পিকে দুয়াকে মাথায় রেখে একটা কমিটি করা হয়েছে । কেএমসি এবং কেইআইআইপি যৌথ ভাবে কাজ করবে। ডিজি নিকাশি, সিভিল-সহ বেশ কয়েকটি বিভাগ কে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বলা হয়েছে মূল কাজ শেষ করুন। বাকিটা কলকাতা পুরসভা করবে। মানুষের সমস্যার সমাধান করতে হবে।’’

প্রসঙ্গত এ বার কলকাতায় বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। যে সব জায়গায় জমা জলের সমস্যা সবচেয়ে বেশি পুরসভাকে ভুগিয়েছে, সেই সব এলাকায় এখনও কেইআইআইপি-র কাজ চলছে। কেন তারা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারছে না তা নিয়ে পুজোর আগে কেইআইআইপির সঙ্গে বৈঠকে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মেয়র। কিন্তু এ বার তিনি সময়ের লক্ষণরেখা টেনে কেইআইআইপি-কে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছেন বলেই মনে করছে কলকাতা পুরসভার একাংশ।

আরও পড়ুন
Advertisement