Recover

গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া যুবককে জীবিত ফেরালেন লঞ্চের কর্মী

দুপুরে আচমকাই লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেনবর্ধমানের বাসিন্দা এক যুবক। তিনিপরিবারের লোকজনের সঙ্গে কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৩৪
অনেক চেষ্টার পরে যুবককে লঞ্চে তুলে আনেন লঞ্চের এক কর্মী।

অনেক চেষ্টার পরে যুবককে লঞ্চে তুলে আনেন লঞ্চের এক কর্মী। —প্রতীকী ছবি।

চলন্ত লঞ্চ থেকে মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে দেরি করেননি ওই লঞ্চের এক কর্মী। তিনিও বয়া (জীবন রক্ষার টিউব) নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন গঙ্গায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করে আনেন ডুবন্ত যুবককে।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির বাগবাজার থেকে হাওড়ামুখী এমভি জলভোর লঞ্চে। কয়েক দিন আগে হাওড়াফেরিঘাটে লঞ্চ থেকে নামার সময়ে লঞ্চ আর জেটির ফাঁক দিয়ে গলে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছিলেন এক প্রৌঢ়া। কয়েক দিন পরে তাঁর দেহ মিলেছিল কলকাতার দিকেসুরিনাম জেটিঘাট থেকে। সে দিন ওই প্রৌঢ়াকে লঞ্চকর্মীরা উদ্ধার করতে না পারলেও এ দিন আরব্যর্থ হননি তাঁরা। ওই পরিবহণ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে আচমকাই লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেনবর্ধমানের বাসিন্দা এক যুবক। তিনিপরিবারের লোকজনের সঙ্গে কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। হাওড়া স্টেশনে আসার জন্য বাগবাজার থেকে লঞ্চে ওঠেন। লঞ্চ যখন মাঝ গঙ্গায়, তখনই তিনি এমন কাণ্ড ঘটান। যা দেখে লঞ্চের অন্য যাত্রীরা চিৎকার শুরু করেন। লঞ্চটির নোঙর করার দায়িত্বে থাকা লস্কর কমল মজুমদার এই দৃশ্য দেখে একটি বয়া নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। অনেক চেষ্টার পরে ওই যুবককে লঞ্চে তুলে আনেন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে হুগলি নদী জলপথের ডিরেক্টর অজয় দে বলেন, ‘‘উদ্ধারের পরে ওই যুবক জানিয়েছেন, তিনি লোকের থেকে অনেক টাকা পান, কিন্তু কেউ তা ফেরত না দেওয়ায় মানসিকঅবসাদে ভুগছিলেন। পরিবারের কাছে মুখ দেখাতে পারছিলেন না। তাই এমনটা করেছেন। উদ্ধারের পরে প্রাথমিক শুশ্রূষা পেয়ে সুস্থহয়ে ওঠেন যুবক। তাঁকে পরিজনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের লস্কর যে ভাবে ঝুঁকি নিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করেছেন, তা প্রশংসনীয়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement