Banglar Bari

বেআইনি নির্মাণ রুখতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের রূপায়ণ চান মেয়র ফিরহাদ হাকিম

কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেবে পুরসভা। মূলত বস্তি এলাকা ও দীর্ঘ দিন ধরে জমিতে কাঁচা বা টালির বাড়িতে বাস করা বাসিন্দাদের এই পরিষেবা দিতে চান ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ১৮:৪৪
KMC Mayor Firhad Hakim decided to promote Banglar Bari project to prevent illegal construction in slum areas

মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।

গার্ডেনরিচের বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মুখ পুড়েছিল কলকাতা পুরসভার। কী ভাবে খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা এলাকায় এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ সম্ভব হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এ বার বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। শনিবার পুরসভার সেই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মেয়র। সেই পরিকল্পনায় জমি নিয়ে কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করলে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেবে পুরসভা। মূলত বস্তি এলাকা ও দীর্ঘ দিন ধরে জমিতে কাঁচা বা টালির বাড়িতে বাস করা বাসিন্দাদের এই পরিষেবা দিতে চান ফিরহাদ।

Advertisement

শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে উত্তর কলকাতার একটি ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আবেদন করেন মেয়রের কাছে। মেয়র জানান, আইনত কোনও ব্যক্তির ছোট জমি থাকলে আবেদনের ভিত্তিতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে সেই বাড়ি বানিয়ে দেওয়া যাবে। পরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘কলকাতার নাগরিক হলে মাথা নিচু নয়, উঁচু করে বাঁচুন। কেন বেআইনি করবেন? বেআইনি করলে ভেঙে দেব। আইন মাফিক অনুমোদন নিয়ে করুন।” এর পর তাঁর দাবি, “আমি জানি, বস্তি এলাকায় দুটো ঘরে বাড়ির মালিক থাকেন। ৮-১০টা ঘরে ভাড়াটে। নামমাত্র ভাড়া। সেই নিয়ে অশান্তি। পাড়ার ছেলে প্রোমোটার হয়ে তাঁদের একটা করে ঘর দিয়ে বাকিটা বিক্রি করে মুনাফা করছে। এ সব করবেন না।’’ তাঁর আরও পরামর্শ, ‘‘গরিব বা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষজন আইন মাফিক আবেদন করুন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ফ্ল্যাট করে দেব। এই বিষয়ে মানুষের মধ্যে প্রচারের জন্য এ বার বস্তি এলাকাগুলোতে ফ্লেক্স ব্যানার লাগানো হবে। যাতে এক দিকে বেআইনি নির্মাণ না করেন। অন্য দিকে সরকারি প্রকল্পে সুবিধা নিতে পারেন।’’

এই বিষয়টি প্রচারের ক্ষেত্রে যেমন কলকাতা পুরসভার প্রচারযন্ত্রকে ব্যবহার করা হবে, তেমনই এই বিষয়ে জনগণকে জানাতে সংবাদমাধ্যমকেও অনুরোধ করেছেন ফিরহাদ। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘গরিব মানুষের কাছে জমি থাকলেও তাঁদের পাকা বাড়ি তৈরির অর্থ থাকে না। সেই সুযোগ নিয়ে অসাধু প্রোমোটারেরা তাঁদের জমিতে বাড়ি নির্মাণের টোপ দেন। এ ক্ষেত্রে প্রোমোটাররা অবৈধ নির্মাণ করে চড়া দামে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দায় ঝেড়ে ফেলেন। পরে অবৈধ নির্মাণ ধরা পড়লে, ওই বাড়ির বাসিন্দাদের ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই কলকাতা পুরসভা চায়, সাধারণ মানুষ অসাধু প্রোমোটারদের খপ্পরে না পড়ে পুরসভা থেকে নিজের অধিকার বুঝে নিন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement