Kolkata Municipal Corporation

নজরে বিধানসভা ভোট, মমতার ভবানীপুরে জমা জলের সমস্যা মেটাতে নিকাশি ব্যবস্থায় বদল

ভবানীপুর বিধানসভার অধীনে আলিপুরে একাধিক অভিজাত আবাসন, বাংলো রয়েছে। বাস বহু উচ্চবিত্ত পরিবারের। অভিযোগ, এলাকার কিছু কিছু রাস্তায় একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৬
KMC is starting the work of sewage to solve the problem of water logging in CM Mamata Banerjee\\\'s assembly constituency Bhabanipur

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।

আর বছর দেড়েকেরও কম সময়ে বিধানসভা ভোট। সেই দিকে নজর রেখে নিজ নিজ এলাকায় ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধায়কেরা। সেই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। এ বার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রেই নিকাশি নালার নতুন লাইন তৈরির বিষয়ে কাজ শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। চলতি মাসেই সেই কাজ শুরু করবে পুর প্রশাসন।

Advertisement

ভবানীপুর বিধানসভার অধীনে আলিপুরে একাধিক অভিজাত আবাসন, বাংলো রয়েছে। বাস বহু উচ্চবিত্ত পরিবারের। অভিযোগ, এলাকার কিছু কিছু রাস্তায় একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। এ বছর বর্ষায় বার বার জমা জলের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে আলিপুর। এলাকাবাসীর একাংশের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও কলকাতা শহরের মেয়রও এই বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা। তা সত্ত্বেও তাঁদের এমন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, আলিপুর পার্ক, প্লে পার্ক রোডের ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা বেশি বৃষ্টিতে জল নামাতে সক্ষম নয়। ফলে রাস্তায় জল জমে সাধারণ মানুষ বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাইপলাইন পুরোপুরি কর্মক্ষম নয় বলে আরও একটি পাইপলাইন বসানো হবে। আলিপুর পার্ক প্লেস, পার্ক রোড হয়ে সেই নালা রাজা সন্তোষ রোড কানেক্টরের নীচে ভূগর্ভস্থ বড় নিকাশি নালার সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে অনেকটাই কমবে জমা জলের সমস্যা।

যাতে আগামী বর্ষায় এলাকাবাসীদের সমস্যার পড়তে না হয়, তাই এই কাজ তার আগেই শেষ করতে বলা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জমা জলের সমস্যা থেকে ভবানীপুরকে পুরোপুরি মুক্তি দিতে উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা। কারণ, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যখন মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর বিধানসভার মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবেন, তখন যেন তাঁকে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ শুনতে না হয়।

তা ছাড়া সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে ভবানীপুর বিধানসভার অধীনে ৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ওয়ার্ডগুলি থেকে পিছিয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের এমন ফলাফল দেখেই ভবানীপুরের নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলেই মনে করছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।

আরও পড়ুন
Advertisement