তনয়া পাঁজা। ছবি: সংগৃহীত।
এ বার অসুস্থ জুনিয়র ডাক্তার তনয়া পাঁজা। আন্দোলনকারীদের সূত্রে খবর, অন্য অনশনকারীদের তুলনায় তাঁর শারীরিক অবস্থা একটু বেশিই খারাপ হয়ে গিয়েছে। তবুও অনশনমঞ্চ ছাড়তে নারাজ তিনি।
আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, ঘন ঘন মাথা ঘুরছে তনয়ার। উঠে বসার চেষ্টা করলে তো মাথা ঘুরছেই, শুয়ে থাকলেও তা-ই হচ্ছে। অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই দুর্বল হয়ে পড়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, তনয়ার রক্তচাপ কমে হয়েছে ৯৮/৭০। তাঁর নাড়ির গতি ৭৮ এবং ক্যাপিলারি ব্লাড গ্লুকোজ় (সিবিজি) ৬৩। মূত্রে কিটোন বডি বেড়েছে (৩+)।
আগেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, সিবিজি ৬০-এর নীচে নেমে গেলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কিডনিও বিকল হয়ে যেতে পারে। সেই জায়গা থেকে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি (নাক, কান, গলা সংক্রান্ত) বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট তনয়াকে নিয়ে।
জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘তনয়ার শরীরটা খারাপ। মাথা ঘুরছে। আমাদের মেডিক্যাল টিম ওঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। অন্যদের শরীরের অবস্থাও খারাপ।’’
প্রসঙ্গত, অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের পর রবিবার রাতে ধর্মতলার মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্য। সন্ধ্যা থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করেছিল। পেটে ব্যথা শুরু হয়েছিল। এর পর অনশনমঞ্চেই পুলস্ত্যর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর চিকিৎসকেরা। তার পরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁকে ভর্তি করানো হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে (এনআরএস)। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।