রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট ফাইল চিত্র।
ভবানীপুর উপনির্বাচন মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালত। মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই মন্তব্য করে। উপনির্বাচনের আবেদন করে কমিশনকে চিঠি লিখে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী ভুল করেছেন বলেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে আদালত। নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ নভেম্বর।সেই সঙ্গে ভবানীপুরে নির্দিষ্ট দিনেই ভোট হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব এক জন সরকারি আধিকারিক। তাই তিনি কোনও এক জনের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেন না। নির্বাচনের আবেদন জানিয়ে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তাতে তিনি নিজের অধিকারের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। তিনি ভুল করেছেন। এক জনের স্বার্থ রক্ষার জন্য এত খরচ কে বহন করবে? ১৭ নভেম্বর কমিশনের জরিমানা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আদালত জানিয়েছে তারা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু যে দল হারবে, তারা চাইলে ফের হলফনামা দায়ের করতে পারবে।’’
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলে বিজেপি। মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র কেন একটি কেন্দ্রেই নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এই মামলায় কমিশনের কাছে জবাবি হলফনামা চেয়েছিল আদালত। কমিশন হলফনামা জমা দেয়। কিন্তু আদালত জানিয়ে দেয়, কমিশনের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় তারা। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে, এই মর্মে সুপারিশ করে কমিশনকে চিঠি লেখেন মুখ্যসচিব। ভোট বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনও সেই কথা উল্লেখ করে। যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। মামলাকারীর দাবি, শুধু মাত্র একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের জন্য এই ভাবে সুপারিশ করা যায় কি? গত শুক্রবার এই মামলায় রায়দান স্থগিত করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। যদিও মঙ্গলবার আদালত এই মামলায় মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল।