ভোট দিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। টুইটার থেকে নেওয়া।
ভোট দিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রবিবার সকালে সস্ত্রীক প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেলের অফিসে ভোট দেন তাঁরা। ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অসন্তোষ ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘গতকাল গভীর রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস এক নির্দেশ জারি করেন। যেখানে বলা হয়, পোলিং বুথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেবলমাত্র নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে ঢুকতে পারবেন। আপনারা দেখেছেন, আমার নিরাপত্তারক্ষীরা সেই নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করেছেন।’’
WB Governor Shri Jagdeep Dhankar instructed his security to strictly comply with State Election Commissioner officially communicated directive that allows only security of Hon’ble CM @MamataOfficial and that of Hon’ble MP @abhishekaitc inside the polling booth #KMC Election. pic.twitter.com/ZDt6M5ENuV
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 19, 2021
প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাতে এই নির্দেশিকা জারি করার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটে অভিযোগ করেন, কালীঘাটের নির্দেশেই এই বিজ্ঞপ্তি। মমতা ও অভিষেকের নাম না নিলেও তিনি লেখেন, ‘জেড প্লাস নিরাপত্তা পান এমন ভোটার কলকাতা পুর এলাকায় রয়েছেন একমাত্র পিসি ও ভাইপো। তাঁদের সুবিধার জন্যই এই বিজ্ঞপ্তি।’ তৃণমূলের অভিযোগ, রাত পোহাতে একই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের মুখ থেকেও।
This directive issued by the WB State Election Commission is a blatant example showing which way they have been leaning all along & have been functioning as per Kalighat's orders.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) December 18, 2021
The only Z+ protectee KMC voters are Aunty & Nephew, for whom such convenience has been offered. pic.twitter.com/NBMNw89x5n
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, যে কোনও ভোটে জেড প্লাস নিরাপত্তা প্রাপ্ত ব্যক্তি এক জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বুথের ভিতর ঢুকতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তারক্ষীকে সাদা পোশাকে থাকতে হয় এবং তিনি অস্ত্র প্রদর্শন করতে পারেন না। এ রাজ্যে এই মুহূর্তে জেড প্লাস নিরাপত্তা পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের নিরাপত্তা জেড প্লাস শ্রেণিতে নেই। স্বভাবতই তাঁকে নিরাপত্তারক্ষী বুথের বাইরে রেখেই ভোট দিতে হয়েছে। জগদীপ ধনখড় দাবি করেছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ মেনে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা বুথের বাইরে ছিলেন। তিনি কোনও বেআইনি কাজ করেননি।