Eye Surgery

ছানি অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত ফ্লুইড থেকেই কি সংক্রমণ! স্বাস্থ্য ভবনকে রিপোর্ট দিয়ে জানাল আরআইও-র দল

গার্ডেনরিচের হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েক জন রোগীকে আরআইও-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবারও সেখানে কয়েক জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩০

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

গার্ডেনরিচের হাসপাতালে ছানির অস্ত্রোপচারের পরেও কেন সমস্যা মেটেনি কিছু রোগীর, তা নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনকে রিপোর্ট দিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রিজিয়োনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমলোজি (আরআইও)-র তদন্তকারী দল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, অস্ত্রোপচারের সময় ফ্লুইড ব্যবহার করা হয়। তা থেকে এই সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনকে।

Advertisement

কলকাতার গার্ডেনরিচের হাসপাতালে ছানি অস্ত্রোপচারের পর কয়েক জন রোগী দেখতে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিল তাঁদের পরিবার। প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। গার্ডেনরিচের হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েক জন রোগীকে আরআইও-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবারও সেখানে কয়েক জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীদের একাংশের পরিবার। জনৈক জানিয়েছেন, গার্ডেনরিচের হাসপাতালে তাঁর শাশুড়ির তিন বার অস্ত্রোপচার হয়েছে। কিন্তু এখনও চোখের সমস্যা মেটেনি।

কলকাতা পুরসভার ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত গার্ডেনরিচ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। সেখানে ছানি অপারেশনের পর চোখে দেখতে না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে ২০-২৫ জন রোগীর পরিবার। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অপারেশন থিয়েটার জীবাণুমুক্ত করার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়, সংক্রমণের কারণে এই সমস্যা। পাশাপাশি, ওই রোগীদের আরআইও-তে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে রোগীদের পরিবার। দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন তারা। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, দু’জন রোগীর সমস্যার কথা শুনেছেন। তবে কারও দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছে, এমন খবর তাঁর কাছে নেই। ওই দু’জন রোগীকে আরআইও-তে রেখে চিকিৎসা চলছে। তিনি আরও জানান, আরআইও থেকে একটি দল গার্ডেনরিচ হাসপাতালে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে। তদন্ত করে দেখা হবে, ঠিক কী কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেই দলই রিপোর্ট দিল স্বাস্থ্য ভবনকে।

আরও পড়ুন
Advertisement