E-Waste

বৈদ্যুতিন বর্জ্য দূষণ বাড়াচ্ছে শহরে, কলকাতায় ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্স বসাবে পুরসভা

বাতিল বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ফেলার জন্য শহরে ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্স বসানো হবে। ভাঙা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, টিভি-সহ বাতিল বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ফেলা যাবে সেখানেই।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৮
E-waste bin boxes will be set in city Kolkata for waste electronic equipment

এ বার শহর জুড়ে ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্স বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ছবি: সংগৃহীত।

বাতিল বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিয়ে কলকাতায় সমস্যা বাড়ছিল। এই ধরনের জঞ্জাল ঠিক কোথায় ফেলা হবে, তা নিয়ে এত দিন কোনও নির্দিষ্ট জায়গা স্থির করা ছিল না। যা নিয়ে অভিযোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছিল কলকাতা পুরসভাকে। এ বার সেই সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যার সমাধান করতে পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার কলকাতার মহানগরিক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এ বার থেকে শহরে বাতিল বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ফেলার জন্য ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্স বসানো হবে।

ভাঙা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, টিভি-সহ বাতিল বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ফেলা যাবে সেখানেই। পরীক্ষামূলক ভাবে কলকাতা পুরসভার অধীন তিনটি বোরোতে এই ধরনের বক্স বসিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সেই কাজে সাফল্য আসায় এবার শহর জুড়ে ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্স বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। প্রথমে কলকাতা পুরসভার ১, ৯ ও ১৬ নম্বর বোরোতে এই ধরণের বক্স চালু করা হয়েছে।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র জানিয়েছে, মোবাইল ফোন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, টিভির মতো বৈদ্যুতিন জঞ্জাল সাধারণ বর্জ্যের মতো যত্রতত্র ফেলে দেওয়া যায় না। এমন প্রবণতা বাড়লে ক্ষতি হতে পারে শহর কলকাতার পরিবেশের। তার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। নতুন এই পদ্ধতি শহর জুড়ে শুরু হলে এখন থেকে বাড়ির কাছেই থাকবে এই ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্স। সেই ড্রপ বক্সে বৈদ্যুতিন বর্জ্য ফেললে তা তুলে নিয়ে যাবে কলকাতা পুরসভা। পরে সেই সব বাতিল বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য পাঠানো হবে অন্য রাজ্যে।

কলকাতা পুরসভার এক কর্তা বলছেন, “প্রতিদিন কলকাতা শহরের উপর বৈদ্যুতিন বর্জ্য পদার্থের চাপ বাড়ছে। কারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর ব্যবহার গত কয়েক বছরের মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে। তাই বাতিল বৈদ্যুতিন সামগ্রীর জন্য আমাদের পৃথক বন্দোবস্ত করতেই হত। কারণ শহরের মানুষের কাছ থেকে আমাদের কাছে তেমন রিপোর্ট আসছিল। তাই দ্রুততার সঙ্গে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement