Dumdum Fair

দমদম থেকে মেলা সরে গেল বাগুইআটিতে, ক্ষোভ বাসিন্দাদের

চলতি বছরে অর্থের অভাবে এক দিকে যেমন বন্ধ রাখা হচ্ছে খাদ্য মেলা এবং সঙ্গীত মেলা, তেমনই দমদম মেলাও স্থানান্তরিত হচ্ছে বাগুইআটির অর্জুনপুরে। এই খবরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৫
দমদম মেলা স্থানান্তরিত হচ্ছে বাগুইআটির অর্জুনপুরে।

দমদম মেলা স্থানান্তরিত হচ্ছে বাগুইআটির অর্জুনপুরে। ছবি: সংগৃহীত।

ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সরগরম থাকে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকা। তবে, চলতি বছরে অর্থের অভাবে এক দিকে যেমন বন্ধ রাখা হচ্ছে খাদ্য মেলা এবং সঙ্গীত মেলা, তেমনই দমদম মেলাও স্থানান্তরিত হচ্ছে বাগুইআটির অর্জুনপুরে। এই খবরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।

Advertisement

স্থানীয়দের একাংশের কথায়, ‘‘গত ২৪ বছর ধরে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শূরের মাঠে দমদম মেলা হচ্ছে। এই মেলায় লক্ষাধিক মানুষের ভিড় এবং প্রচুর টাকার বিকিকিনি হয়।’’ কিন্তু সেই মেলাই পুর এলাকা থেকে সরে গিয়ে হতে চলেছে বাগুইআটির অর্জুনপুরে। আয়োজকেরা জানান, ওই মাঠ যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁদের থেকে মেলার আয়োজনের অনুমোদন মেলেনি। ফলে, এ বছর অনতিদূরে অর্জুনপুর এলাকায় মেলাটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

যদিও বাসিন্দাদের একাংশের মতে, দমদমের অন্য মেলাগুলি নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক। যেমন, খাদ্য মেলা, সঙ্গীত মেলা, নাট্যমেলা বা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। কিন্তু সব রকমের সম্ভার নিয়ে দক্ষিণ দমদমের ওই মেলা স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বাড়ির কাছেই মেলা হত। এ বার সেই মেলা অর্জুনপুরে হচ্ছে। পুর এলাকার মধ্যে কোথাও জায়গা মিলল না? স্থানীয়দের কথা আয়োজকদের বিবেচনায় রাখা
উচিত ছিল।’’

শীতের মরসুমে দক্ষিণ দমদমে প্রতি বছর আয়োজিত হওয়া খাদ্য মেলা এবং সঙ্গীত মেলাও এ বার হচ্ছে না। খাদ্য মেলার অন্যতম আয়োজক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঙ্গীত মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা প্রবীর পাল জানিয়েছেন, মেলা করতে বিপুল ব্যয় হয়। এ বছর অর্থের অভাব রয়েছে। তাই মেলার আয়োজনে ইতি টানতে হয়েছে। তবে, ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নাট্যমেলা। পাশাপাশি আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দমদম বইমেলা।

রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, দক্ষিণ দমদমের শূরের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়ায় মেলার স্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে। তবে সেটি অনতিদূরের বিধানসভা এলাকার মধ্যেই হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ তথা ওই মেলার অন্যতম আয়োজক সঞ্জয় দাস জানান, বাধ্য হয়েই স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত। স্থানীয়দের অসন্তোষ থাকলেও পরিস্থিতির বিচার করে তাঁরা অর্জুনপুরের মেলায় যোগ দেবেন বলেই আশা করছেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন