নির্মল মাজির পাশে অভিযুক্ত চিকিৎসক দেবাংশী সাহা নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন-কাণ্ডে জোড়া রিপোর্ট জমা পড়ল রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনে। রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে চিকিৎসক দেবাংশী সাহাকে। বলা হয়েছে, নিয়ম ভেঙে ওই ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তিনি।
রবিবার রাতে জমা পড়েছে রিপোর্ট। সূত্রের খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও মেডিক্যাল অফিসার বা হাউস স্টাফের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন দেওয়া যায় না। এই ইঞ্জেকশন নিতে গেলে সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার বা আরএমও-র স্বাক্ষর দরকার। সেই সঙ্গে কোন রোগীর জন্য ইঞ্জেকশন নেওয়া হচ্ছে সেই কথার উল্লেখ থাকতে হবে ফর্মে। কিন্তু সে সব কিছুই ছিল না। কোনও নিয়মই মানা হয়নি।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত চিকিৎসক দেবাংশীর সঙ্গে কথা বলেছে তদন্ত কমিটি। তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
গত ৩ মে স্বাস্থ্য দফতর রেমডেসেভির এবং টসিলিজুমাব, এই দু’টি ইঞ্জেকশনের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, প্রস্তুতকারক সংস্থা এই দুটি ইঞ্জেকশন শুধু নার্সিংহোম ও কোভিড হাসপাতালকেই বিক্রি করতে পারবে। এখন দেখার ২৬টি ইঞ্জেকশন উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতর কী পদক্ষেপ নেয়।