Central Forces

দ্রুত সরুক কেন্দ্রীয় বাহিনী, সরব অধ্যক্ষেরা

বৈঠকে কয়েক জন অধ্যক্ষ জানান, সোমবার কয়েকটি কলেজ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শেষ দল বিদায় নিয়েছে। কিন্তু কলেজের পরিকাঠামো বিপর্যস্ত। নষ্ট হয়েছে শৌচাগার, ঘর, বেঞ্চ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ০৭:১৪

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকে শুরু করে ভোট মিটে যাওয়ার পরেও বহু দিন ধরে যে ভাবে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখা হয়েছে, তাতে পঠনপাঠন ও পরীক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অভিযোগ উঠেছে বার বার। এ বার ‘নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদ’ সিদ্ধান্ত নিল, ভবিষ্যতে নির্বাচন শেষ হলেই যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী কলেজগুলি থেকে চলে যায়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে রাজ্যের কাছে আবেদন জানাবে তারা।

Advertisement

মঙ্গলবার বসিরহাট কলেজে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভায় এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় বক্তাদের মধ্যে ছিলেন নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের রাজ্য সভাপতি পূর্ণচন্দ্র মাইতি, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায়, বসিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মণ্ডল।

বৈঠকে কয়েক জন অধ্যক্ষ জানান, সোমবার কয়েকটি কলেজ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শেষ দল বিদায় নিয়েছে। কিন্তু কলেজের পরিকাঠামো বিপর্যস্ত। নষ্ট হয়েছে শৌচাগার, ঘর, বেঞ্চ। এত দিন কলেজে বাহিনী থাকায় বিদ্যুতের বিল লক্ষ টাকা ছুঁইছুঁই। কিন্তু সরকার থেকে সেই টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এ দিনের বৈঠকে কলেজগুলির নানা সমস্যার কথাও ওঠে। কলেজগুলি থেকে প্রতি বছর অনেক শিক্ষক অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করতে পারছে না। শ্যামলেন্দু জানান, শিক্ষাকর্মীর সংখ্যাও দিনে দিনে কমছে। তিনি বলেন, ‘‘২০২০ সাল থেকে কলেজে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ বন্ধ। অথচ, কর্মীদের অবসর অব্যাহত। এর ফলে অনেক কলেজ হেড ক্লার্ক, ক্যাশিয়ার, হিসাবরক্ষক ছাড়াই চলছে।’’ বৈঠকে আরও অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন কলেজে সরকারি অডিটর নিয়োগ না হওয়ায় অডিটের কাজও সম্পূর্ণ হচ্ছে না।

আরও পড়ুন
Advertisement