R G Kar Hospital Incident

আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন, সূত্রের দাবি, মিলেছে অনুমতি

আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা কেটেছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত শিয়ালদহ আদালতে মিথ্যা যাচাইয়ের এই পরীক্ষার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৪ ১২:৩৫
আরজি কর-কাণ্ডের অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শিয়ালদহ আদালতে।

আরজি কর-কাণ্ডের অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শিয়ালদহ আদালতে। ছবি: সারমিন বেগম।

আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা কেটেছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত শুক্রবার দুপুরে শিয়ালদহের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) আদালতে পলিগ্রাফ পরীক্ষার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। এর পর আদালতের অনুমতি মিললেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা যাচাইয়ের এই পরীক্ষা করা হবে।

Advertisement

এর আগে অভিযুক্তকে একাধিক বার আরজি করের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। গত মঙ্গলবার অভিযুক্তের পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদনও জানানো হয় শিয়ালদহ আদালতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির একটি সূত্র মারফত জানা যায়, নিরাপত্তার কারণে সেখানে হাজির করানো হয়নি ধৃত ব্যক্তিকে। শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে সেই সিবিআইয়ের তরফে করা পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন বিবেচনা করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

শুক্রবার সওয়া ১২টা নাগাদ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার করে সিবিআই। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শিয়ালদহ আদালতে। সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। রাস্তায় ছিল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের গাড়ি যখন আদালত চত্বরে ঢুকছে, তখন উপস্থিত জনতা ‘ফাঁসি চাই’ স্লোগান দেয়।

শুক্রবার ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া একটি লাল গেঞ্জি পরে এবং মাথা ও মুখ নীল কাপড়ে ঢেকে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন অভিযুক্ত। সংবাদমাধ্যমের তরফে অভিযুক্তের উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হলেও তাঁর তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যেরা তাঁকে গাড়িতে তুলেই দরজা বন্ধ করে দেন। অভিযুক্তকে নিয়ে শিয়ালদহের আদালতের উদ্দেশে রওনা দেয় গাড়ি।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। শুক্রবার সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করাতে হবে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে এই ঘটনার তদন্তভার কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআইকে দেয় এবং ধৃতকেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির হেফাজতে তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement