জোড়া চাপে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। ফাইল চিত্র।
তিনি অসুস্থ। এখন হাঁটাচলা করতে পারছেন না। তাই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই। সিবিআইকে ই-মেল মারফত জানালেন অনুব্রত মণ্ডল। এ নিয়ে ষষ্ঠবার সিবিআই হাজিরা এড়ালেন তিনি।
বারবার হাজিরা এড়ানো ঠিক নয়। তবে এক বার গেলে বারবার যেতে ইচ্ছে করবে সিবিআইয়ের কাছে। অনুব্রতকে সিবিআইয়ের তলব প্রসঙ্গে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
অনুব্রত কি আজই সিবিআই দফতরে যাচ্ছেন? এখনও তা স্পষ্ট নয় বলে জানালেন নেতার আইনজীবী। ঘড়ির কাঁটা পেরিয়েছে সাড়ে পাঁচটা। কিন্তু এখনও নিজের ফ্ল্যাটেই রয়েছেন অনুব্রত। শনিবার বিকেলে তাঁকে গরু পাচার মামলা এবং রবিবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তাঁকে তলব করেছে সিবিআই।
গরু পাচার কাণ্ডে গত পাঁচ বার অনুব্রতকে তলব করেছে সিবিআই। স্বাস্থ্যজনিত কারণে হাজিরা এড়িয়ে এসেছেন। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে বেরতেই ফের এল সিবিআই ডাক। এ বার মুখোমুখি হবেন সিবিআইয়ের?
দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছেন সতীশ কুমার। ১২ কোটি দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। অন্য দিকে চিনার পার্কে অনুব্রতের ফ্ল্যাটে অনুব্রতকে নোটিস দিল সিবিআই।
গত ৬ এপ্রিল থেকে অনুব্রত ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। ১৭ দিন পর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে শুক্রবার ছাড়া পান তিনি। জল্পনা চলছিল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই কি সিবিআইয়ের তলব পড়বে? হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার আগেই ডাক পড়ল সিবিআই দফতরে।
শনিবারই অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রতকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।