আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে আবার নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই। এই মর্মে সোমবার শিয়ালদহ আদালতে আবেদন জানিয়েছে তারা। ওই দু’জনকেই সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজির করানো হয়েছে।
সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। মামলায় সেগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সেই কারণেই সন্দীপ এবং অভিজিৎকে আবার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তাঁরা। আরও তিন দিনের হেফাজতের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।
বস্তুত, আরজি কর-কাণ্ডে সন্দীপকে দীর্ঘ দিন সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার পর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ধর্ষণ-খুনের মামলাতেও ১৫ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ ছাড়া, অভিজিৎকে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর। তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছিল। গ্রেফতারির পর ১১ দিন দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার পর আর তাঁদের নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায়নি সিবিআই।
কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, আরজি কর-কাণ্ডের কিছু তথ্য এবং নথি ফরেন্সিক বিভাগে পরীক্ষার জন্য তারা পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে আবার সন্দীপ এবং অভিজিৎকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সোমবার সেই আবেদনই জানানো হবে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, ধৃতকে ১৫ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারে সিবিআই। সে ক্ষেত্রে, সন্দীপদের আরও চার দিন সিবিআই হেফাজত বাকি। তার মধ্যে থেকেই তিন দিনের হেফাজত চেয়ে নেওয়া হল।
আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম থেকেই সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। হাসপাতালের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছিলেন, সন্দীপ অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাই তিনি এই তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। আন্দোলনের মুখে সন্দীপ পদত্যাগও করেছিলেন। তার পর থেকে টানা তিনি সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বর্তমানে সন্দীপ এবং অভিজিৎ উভয়েই বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।