Justice Rajasekhar Mantha

মিটিং-মিছিল, প্রতিবাদ, পোস্টার, হাই কোর্ট চত্বরে কোনওটাই চলবে না, কড়া নির্দেশ তিন বিচারপতির

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার আদালত অবমাননার রুল সংক্রান্ত মামলাটি মঙ্গলবার শুনানির জন্য ওঠে কলকাতা হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলে বেঞ্চ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩২

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

কলকাতা হাই কোর্ট চত্বরে কোনও প্রতিবাদ, পোস্টার বা প্ল্যাকার্ড লাগানো যাবে না বলে নির্দেশ দিল হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। চলবে না মিটিং-মিছিল-বিক্ষোভও। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্টের তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ।

সম্প্রতি হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে যে ভাবে হাই কোর্টে আইনজীবীদের বিক্ষোভ, বয়কট হয় এবং পোস্টার সাঁটা হয় তার সমালোচনা করেছিলেন আইনজগতের বহু বিশিষ্ট। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টের তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে। তিন বিচারপতিই হাই কোর্ট চত্বরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখানো নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে হাই কোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশের বৃহত্তর বেঞ্চে। বেঞ্চ মামলাটির শুনানিতে বলে, ‘‘খবর কাগজে পড়লাম যে কোর্ট চত্বরে প্রতিবাদ করা হয়েছে। তিন জন আইনজীবীকে দেখেছি প্ল্যাকার্ড নিয়ে। এটা ঠিক নয়। সবার আগে এটাই আপাতত মাথায় রাখা দরকার।’’

উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকেই হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে হাই কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। হাই কোর্টে বিচারপতি মান্থার নামে পোস্টারও পড়ে। সেই পোস্টারে বিচারপতির নাম উল্লেখ করে লেখা ছিল, ‘‘বিচারের নামে কলঙ্ক।’’ মঙ্গলবার এই পোস্টার প্রসঙ্গেও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয় বৃহত্তর বেঞ্চ। তিন বিচারপতির নির্দেশ, ‘‘কার নির্দেশে, কে বা কারা বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়েছে, তা তদন্ত করে বার করতে হবে। দেখতে হবে কোথায় সেই পোস্টার ছাপা হয়েছে?’’

(এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবরটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আসছে। অপেক্ষা করুন।পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন।অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।)

আরও পড়ুন
Advertisement