West Bengal Assembly

‘নারী নির্যাতন’ নিয়ে কথা হোক, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুদের, প্রস্তাব মঞ্জুর না হওয়ায় বাইরে বিক্ষোভ

মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে বিধানসভায় আলোচনা চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা না হওয়ায়, বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ বিজেপি পরিষদীয় দলের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪ ১২:৫৯
বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ বিজেপির।

বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ বিজেপির। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ বার বিধানসভায় অন্দরে সরব বিজেপির পরিষদীয় দল। বাংলায় মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে বুধবার বিধানসভায় আলোচনার দাবি তুলেছিল বিজেপি। তাঁদের দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে বিবৃতি দেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বিধানসভায় না থাকায়, অন্য কাউকে দায়িত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়, সেই অনুরোধ জানান বিজেপি বিধায়কেরা। তখন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের জবাবে তাঁরা সন্তুষ্ট না হওয়ায় ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা। এর পর বিধানসভার অলিন্দে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

Advertisement

রাজ্যে সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। জেসিবি, জয়ন্তদের মতো এলাকায় এলাকায় মাতব্বরদের গজিয়ে ওঠা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সাম্প্রতিক একাধিক গুলি চলার ঘটনা নিয়েও। ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েক দিনে রাজ্য সরকারকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। এবার বিধানসভার অন্দরেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ইস্যুতে সরব পদ্মশিবিরের পরিষদীয় দল।

বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ প্রসঙ্গে আলোচনা চেয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করা হয়। পদ্মের পরিষদীয় দলের তরফে প্রস্তাব পাঠ করেন অগ্নিমিত্রা পাল। এর পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অনুরোধ করেন যাতে আইনশৃঙ্খলার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখে রাজ্য সরকার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে অন্য কেউ যাতে স্বরাষ্ট্র দফতরের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন, সেই দাবি জানান শুভেন্দু।

বিজেপি যখন মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিধানসভায় আলোচনার দাবি তোলে, তখন তৃণমূল বিধায়কেরাও পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করেন। এরই মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “নতুন তিন ফৌজদারি আইন চালু করা হয়েছে রাজ্যের থেকে আইনশৃঙ্খলা কেড়ে নেওয়ার জন্যই।” রাজ্যের এক্তিয়ারের মধ্যে হস্তক্ষেপের অভিপ্রায়েই ওই তিন আইন চালু করা হয়েছে বলে দাবি চন্দ্রিমার। নারী নির্যাতনের ইস্যুতে চন্দ্রিমা পাল্টা হাথরস, উন্নাওয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এতে আরও হইচই শুরু হয় বিধানসভায় এবং বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। এরপর বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

আরও পড়ুন
Advertisement