দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা মামলায় সায় আদালতের।
ভুয়ো টিকা-কাণ্ডের হোতা দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা)-য় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল আলিপুর আদালত। ধৃতের বিরুদ্ধে ওই ধারায় মামলা দায়ের করতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছিল লালবাজারের তরফে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। শনিবার আদালত তা মঞ্জুর করে। তার পরেই ধৃতের বিরুদ্ধে ওই ধারা যুক্ত হল।
কসবার ঘটনায় গত চার দিন ধরে উত্তাল রাজ্য। তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী খোদ সেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। করোনার টিকা নিতে গিয়ে ভুয়ো টিকা নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। এ ছাড়াও বহু মানুষ ওই শিবির থেকে ভুয়ো টিকা নিয়েছেন।
ভুয়ো টিকা নিয়ে এখনও পর্যন্ত যদিও কারও মৃত্যু হয়নি, কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় মানুষকে ভুযো টিকা দেওয়া নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। শাসকদলের সাংসদ যদি প্রতারণার শিকার হন, সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ আসল-নকল যাচাই করবেন কী ভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গোটা ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উঠছে।
যদিও এই ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার। কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রর সঙ্গে এ নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তাঁকে সাফ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, কোনও আপস না করে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করতে হবে বলে নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে সিট। তাঁর যে তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের শনিবার আদালতে হাজির করানো ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জেরা করে ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা।