Kolkata Karcha

কলকাতার কড়চা: গান দিয়েই শিকল ভাঙা 

সুচিত্রা মিত্রের কলকাতা-পর্বেও ‘সব কাজে হাত লাগাই মোরা সব কাজে’রই ছবি। গণনাট্যের পথসভা, ‘রবিতীর্থ’র তাসের দেশ প্রযোজনা, রবীন্দ্রভারতীর হাজারো কাজে থেকেছেন সামনে, পাশে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৪
সুচিত্রা মিত্র ।

সুচিত্রা মিত্র । —ফাইল চিত্র।

সাহিত্যসেবী সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়ের কন্যা সুচিত্রা মিত্র (ছবি) শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র-সান্নিধ্য পাননি। তিনি পৌঁছনোর মাত্র ক’দিন আগেই প্রয়াত বিশ্বকবি। সুচিত্রা দমে যাননি; শান্তিদেব ঘোষ, শৈলজারঞ্জন মজুমদার প্রমুখের তত্ত্বাবধানে গড়েছেন নিজেকে। শান্তিনিকেতনে সে আমলে একক গানে তেমন প্রশ্রয় ছিল না। এমনকি গীতিনাট্য-নৃত্যনাট্যেও সব গান সমবেত কণ্ঠেই শোনা গিয়েছে। অন্য কাজেও সকলে যূথবদ্ধ: হলকর্ষণ থেকে শিল্পোৎসব, বৃক্ষরোপণ থেকে উপাসনা।

Advertisement

সুচিত্রা মিত্রের কলকাতা-পর্বেও ‘সব কাজে হাত লাগাই মোরা সব কাজে’রই ছবি। গণনাট্যের পথসভা, ‘রবিতীর্থ’র তাসের দেশ প্রযোজনা, রবীন্দ্রভারতীর হাজারো কাজে থেকেছেন সামনে, পাশে। ’৭৫-এ একার আমন্ত্রণকে বদলে দিয়ে রবিতীর্থ-র অনেককে নিয়ে গেলেন আমেরিকা। রবীন্দ্রভারতীতে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বেছে নিয়েছেন ভবিষ্যৎ-প্রতিভা। নবীন শিল্পীর পিতৃবিয়োগের খবর পেয়ে সমবেদনা-পত্রে নিজের হাতে লিখেছেন, “পঁচিশে বৈশাখে তোমাকে গাইতে হবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে।”

গান দিয়েই শিকল ভেঙেছেন। তাঁর কণ্ঠের ব্যাপ্তি ভেবেই সলিল চৌধুরী করেছিলেন ‘কৃষ্ণকলি’র সম্প্রসারণ। তার রূপায়ণে অসাধ্যসাধন করেছেন সুচিত্রা। গ্রাম-গ্রামান্তরে, লোকমঞ্চে শুনিয়েছেন রবীন্দ্রসঙ্গীত, গণসঙ্গীত। মহড়ায় উৎপল দত্ত, কণিষ্ক সেনদের পাশে বসিয়ে চণ্ডালিকা-র অভিনয়ের জায়গাটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নৃত্যশিল্পীদের। ওঁকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রে তো বটেই, ছায়াছবির পর্দাতেও স্বচ্ছন্দ তিনি। রবিতীর্থতে যত দিন পেরেছেন ক্লাস নিয়েছেন, কণ্ঠ অসহযোগিতা করলে ছাত্রছাত্রীদের দিয়েছেন সে দায়িত্ব; যত দিন পেরেছেন, সেই সব ক্লাসেও বসে থেকেছেন অভয়দাত্রীর মতো। কলকাতার স্মৃতি-মানচিত্রে ওঁর কত না অনুষ্ঠান; পুজোর মুখে মনের কানে বাজে ওঁর ‘নব কুন্দধবলদলসুশীতলা’।

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর জন্মশতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে সুচিত্রা মিত্রের। শহর জুড়ে নানা অনুষ্ঠানে তাঁরই উদ্‌যাপন। ১৮ সেপ্টেম্বর গৌতম মিত্রের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় বিড়লা অ্যাকাডেমিতে ‘সৃষ্টি পরিষদ’-এর অনুষ্ঠান। ‘রবিপরম্পরা’র উদ্যোগে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আইসিসিআর-এ কর্মশালায় রবীন্দ্রনাথের গানে তালের প্রয়োগ বিশ্লেষণ করবেন পণ্ডিত বিপ্লব মণ্ডল, সাঙ্গীতিক আলাপ লোপামুদ্রা মিত্র ও অনিতা পালের। সে দিনই সন্ধেয় বেহালা শরৎ সদনে চিত্রাঙ্গদা পরিবেশনায় শিল্পীকে স্মরণ করবে ওঁর আর এক ছাত্রী তাপসী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান ‘সংবর্তিকা’; থাকবেন প্রণতি ঠাকুর অলক রায়চৌধুরী-সহ বিশিষ্টজন। ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে মন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ‘সুচিত্রা মিত্র মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর প্রথম অধিবেশনে বৃন্দগানে রবিতীর্থ-র প্রাক্তন শিল্পীরা, পরিবেশিত হবে তাসের দেশ ও একটি আষাঢ়ে গল্প মিলিয়ে ‘পূরবী’র নৃত্য-গীতি নিবেদন। ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ইজ়েডসিসি প্রেক্ষাগৃহে সুচিত্রা-স্মরণ ‘পথের পাঁচালী’র, সময়ের প্রতিবাদ কণ্ঠে নিয়ে গাইবেন বিশিষ্ট শিল্পী ও নানা সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা: কলাভৃৎ রবিমল্লার আভোগ বাতায়নিক মঞ্জিস ছন্দনীড় ক্যালকাটা কয়্যার।

মানববাদী

তাঁর মানববাদী চিন্তায় সবার উপরে ব্যক্তির সার্বিক বিকাশ। মনে করতেন, মানুষের শুভবুদ্ধি ও কল্যাণকামী আচরণ প্রথমে নিজেকে জাগায়, একই সঙ্গে তার চার পাশকে। মানুষের শক্তিতে শিবনারায়ণ রায়ের (ছবি) ছিল অগাধ আস্থা, বিশ্বাস করতেন প্রশ্ন করার ক্ষমতায়, সম্পাদিত পত্রিকার নাম রেখেছিলেন জিজ্ঞাসা। ‘নবজাগরণ’কে নতুন শতকে কী ভাবে দেখা দরকার, সেই প্রশ্নে তাঁর ইংরেজি বইগুলির পাশাপাশি বাংলার রেনেসাঁস, নবজাগরণের বিবেকী পথিকৃৎ ডিরোজিও, রামমোহন: অন্ধকারের উৎস হতে প্রভৃতি বইগুলিও জরুরি। বাঙালি এই চিন্তকের স্মরণে বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ তাদের সভাঘরে আয়োজন করেছে ‘শিবনারায়ণ রায় স্মারক বক্তৃতা’, এ বছরের বক্তা মণিশংকর মুখোপাধ্যায়। ‘সাহিত্যজীবন কথা’ শিরোনামে নবতিপর লেখকের বক্তৃতায় দীর্ঘ লেখকজীবনের মণিকণা শোনা যাবে আগামীকাল ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার, বিকেল সাড়ে ৪টায়।

দশ বছরে

হস্তশিল্পের হাত ধরেছে পর্যটন। কলেজ স্ট্রিটের হস্তশিল্প ও পর্যটন মেলা এ বার দশ বছরে পড়ল। বিদ্যাসাগর কলেজের উল্টো দিকে, সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ ভবনের উল্লাসকর দত্ত অঙ্গনে মেলা চলবে ১৫ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর। এক দিকে পর্যটনের নানা ব্যতিক্রমী ঠিকানার খোঁজ, পাশাপাশি সোনাঝুরির হাটের শিল্পীদের কাজ, মুর্শিদাবাদের পাটের কাজ, কাঠের শিল্পকর্ম, পটের সম্ভার, নকশিকাঁথা, তাঁতের শাড়ি-সহ হরেক শিল্পবস্তু। অগ্নিযুগের বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত আন্দামানে দ্বীপান্তর পর্ব শেষে আশ্রয় পেয়েছিলেন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের এই ভবনের একটি ঘরে, তাঁরই স্মৃতিতে মেলা-অঙ্গনের নাম।

সময়ের কথাকার

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর ট্যাংরা-পিলখানা ঘুরে শুনেছেন সংখ্যালঘু মানুষের কথা; বেলেঘাটার খালপাড় ঘুরেছেন ‘পচা খালের গল্প’ লিখবেন বলে। সত্যপ্রিয় ঘোষের ছোটগল্পে স্বাধীনতা আন্দোলন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দেশভাগ-দাঙ্গার পাশাপাশি নাগরিক মধ্যবিত্ত জীবন উঠে এসেছে গভীর অভিজ্ঞতার নির্যাসে। প্রথম গল্প ‘ফাটল’; অমৃতের পুত্রেরা, দ্বিতীয় জন্ম প্রভৃতি বইয়ের গল্পে খুলে দেখিয়েছেন নীতি-অনীতি, সুখ-অসুখ, সমৃদ্ধি-দারিদ্রের নানা পরত। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রামমোহন লাইব্রেরির রায়া দেবনাথ প্রেক্ষাগৃহে তাঁর নামাঙ্কিত স্মারক বক্তৃতা, সত্যপ্রিয় ঘোষের আখ্যানভুবন নিয়ে বলবেন সন্মাত্রানন্দ। শৌভিক মুখোপাধ্যায় বলবেন ওঁর রেল-জীবন নিয়ে। প্রকাশ পাবে সত্যপ্রিয় ঘোষের গল্প সংগ্রহ দ্বিতীয় খণ্ড এবং প্রবন্ধ সংকলন।

ভালবেসে

ক্লাসরুমের ভিতরে তো বটেই, বাইরেও, জীবনভর শিখিয়ে চলেন বলেই শিক্ষকেরা এত আপন আমাদের। কয়েক দশকের শিক্ষকজীবন পেরিয়ে এসেছেন যিনি, তাঁর কাছে চুপ করে বসলে শোনা যায় পেরিয়ে আসা সময়ের কথা, তাঁর শিক্ষকদের কথা। সুব্রত রায়চৌধুরীকে যেমন বলেছিলেন গোপাল হালদার, একটি ধূপের প্যাকেট হাতে দিয়ে: “এর মতোই তোমার জীবন সৌরভে পূর্ণ হোক।” পঁয়ষট্টির প্রান্তে পৌঁছে এখন আঁজলা ভরে নতুন প্রজন্মকে অভিজ্ঞতার সম্পদ তুলে দিচ্ছেন; ওঁর ছাত্র সুহৃদ শুভাকাঙ্ক্ষীরাও সম্প্রতি দিলেন প্রত্যুপহার। মহাবোধি সোসাইটি সভাগৃহে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে প্রকাশ পেল সুব্রত রায়চৌধুরীকে নিবেদিত সম্মাননা গ্রন্থ, বৃক্ষপুরুষ। অভ্র ঘোষ পবিত্র সরকার প্রমুখ বিশিষ্টজন ঘিরে ছিলেন ওঁকে।

বিশ্বের ছবি

সিনেমা যেমন করে বলতে পারে মানুষের কথা, যে ভাবে তুলে ধরতে পারে সময়কে, একুশ শতকে আরও কোন শিল্পমাধ্যম পারে তা? প্রেম ও প্রতিরোধ, সঙ্কট সম্পদ, সবই তার উপজীব্য। ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ় অব ইন্ডিয়া (এফএফএসআই) পূর্বাঞ্চল আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল গত দু’বছরে মন কেড়েছে এ শহরের, তৃতীয় বছরের অধিবেশনও হাজির। ১৫-২১ সেপ্টেম্বর (১৭ বাদে) নন্দন ৩-এ রোজ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে কাহিনিচিত্র, তথ্যচিত্র ও ছোট ছবির আসর: নেপাল ইরান কাজ়াখস্তান জার্মানি আমেরিকা কানাডা রাশিয়ার। রয়েছে বাংলা অসমিয়া হিন্দি ইংরেজি মণিপুরি মরাঠি ভাষায় তৈরি একগুচ্ছ ভারতীয় ছবিও। সেরা কাহিনিচিত্র, তথ্যচিত্র ও ছোট ছবি পুরস্কৃতও হবে এই আয়োজনে, বিমল রায় হরিসাধন দাশগুপ্ত ও চিদানন্দ দাশগুপ্ত সম্মানে।

ফেরা

শান্তিনিকেতনে ১৯৪০-এ জন্ম ফুটফুটে মেয়েটার। বাবা তান ইয়ুন-শান রবীন্দ্রনাথের ডাকে এসেছিলেন আশ্রমে, চিনা ভাষা-সাহিত্য পড়াতে। তাঁর তৃতীয় সন্তান তান ইউয়ান, রবীন্দ্রনাথ নাম রাখলেন চামেলী। পাঠভবন, পরে কলাভবনে ভর্তি: সেখানে তখন মাস্টারমশাই বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় রামকিঙ্কর বেজ। রামকিঙ্কর জলরঙে পোর্ট্রেটও আঁকেন ওঁর। কলাভবন থেকে ডিপ্লোমা, পরে ইন্ডোলজিতে স্নাতক, ইতিহাসে এম এ। বিয়ে হল এ রামচন্দ্রনের সঙ্গে, জীবন পরে ছড়িয়ে পড়ল বৃহৎ বিশ্বে। শান্তিনিকেতন তবু বুকের মাঝে ছিলই, ছবিও। নব্বইয়ের দশকে ফিরলেন ছবি আঁকায়, চিনা কালি-তুলি’সহ নানা মাধ্যমে। চামেলী রামচন্দ্রনের ছবির আশ্চর্য জগৎ এ বার কলকাতায়, গ্যালারি রস-এ ‘রুটস টু পেটালস, পিকস টু সি’ প্রদর্শনী চলবে সেপ্টেম্বরভর। তারই দু’টি, ছবিতে।

শরৎ-সপ্তাহ

“সংসারে যারা শুধু দিলে, পেলে না কিছু... মানুষ হয়েও মানুষে যাদের চোখের জলের কখনও হিসেব নিলে না... এদের বেদনাই দিলে আমার মুখ খুলে... আমার কারবার শুধু এদেরই নিয়ে।” তাঁর ৫৭তম জন্মদিনের প্রতিভাষণে বলেছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (ছবি)। তার পরে পেরিয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়, অমর কথাশিল্পী জন্মসার্ধশতবর্ষের (জন্ম ১৮৭৬) দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছেন প্রায়, এবং এই দগ্ধ সময়ে নতুন করে শরৎ-সাহিত্যবিশ্বকে ফিরে দেখার প্রয়োজনও অনুভূত হচ্ছে। আগামী কাল ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন, দক্ষিণ কলকাতায় ২৪ অশ্বিনী দত্ত রোডে শরৎচন্দ্রের বাসভবনে ১১ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর, সাত দিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শরৎ সমিতি। গত তিন দিনে হয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের যোগদানে বিতর্ক, সাহিত্যসভাও; আজ ও কাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘সঙ্গীতপ্রিয় শরৎচন্দ্র’ প্রসঙ্গ ও গান। ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শরৎ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান ও শ্রুতিনাটক সতী।

৬২৬৭১০

শাসকের বিরুদ্ধমত পোষণ করলেই দমন-পীড়ন আর কারাবাস আজকের ভারতে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক কালে এনআরসি, সিএএ-এর বহু প্রতিবাদীর ঠিকানা হয়েছে জেলের কুঠুরি। চার বছর হতে চলল তিহাড়ে বন্দি উমর খালিদ, মামলা শুরু হয় না, জামিনও নেই। নিপীড়িত, বন্দি শরজিল ইমাম, গুলফিসা ফাতিমা, মিরান হায়দার, খালিদ সইফির মতো সমাজকর্মী, গবেষক, ছাত্রছাত্রীরাও। এ দেশে আইনের শাসনের নামে প্রতিনিয়ত যে প্রহসন চলে তারই প্রতিচ্ছবি ওঁদের বন্দিজীবন। রাষ্ট্রীয় অবিচারের এই কাহিনি ফুটে উঠেছে উমর খালিদকে নিয়ে ললিত ভাচানির তৈরি কয়েদি নং ৬২৬৭১০ হাজির হ্যায় ছবিতে। পিপল’স ফিল্ম কালেক্টিভ-এর আয়োজনে ‘কেজড ফর ডিসেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে কলকাতায় ছবিটি প্রথম বার দেখানো হবে সুজাতা সদনে, ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement