Gun Shot

পার্ক স্ট্রিটের কাছে গুলিতে জখম যুবক, ধৃত তিন

মধ্য কলকাতার একদা কুখ্যাত দুষ্কৃতী গব্বরের সহযোগী ছিল সোনা। তোলাবাজি ও হুমকির অভিযোগে ২০০২ সালে তাকে প্রথম ধরা হয়। খাদিম-কর্তা অপহরণের মামলাতেও তাকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ০৭:১৯

—প্রতীকী চিত্র।

ফের কলকাতার বুকে চলল গুলি। রবিবার রাতে কসবার পরে শুক্রবার রাতে পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার মির্জা গালিব স্ট্রিট এবং কিড স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন এক যুবক। তাঁর নাম এখলাস বেগ। ২৯ বছরের এখলাস পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী। বাড়ি তালতলা লেনে। তাঁর ডান পায়ে গুলি লেগেছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত সোনা ওরফে মহম্মদ ফাহিমুদ্দিন পলাতক।

Advertisement

উল্লেখ্য, মধ্য কলকাতার একদা কুখ্যাত দুষ্কৃতী গব্বরের সহযোগী ছিল সোনা। তোলাবাজি ও হুমকির অভিযোগে ২০০২ সালে তাকে প্রথম ধরা হয়। খাদিম-কর্তা অপহরণের মামলাতেও তাকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। পরে ওই মামলা থেকে ছাড়া পেলেও তোলাবাজির মামলায় দীর্ঘদিন জেলে ছিল সে। বছরকয়েক আগে ছাড়া পেয়ে প্রোমোটারির
ব্যবসা শুরু করে সোনা। এই ঘটনায় পুলিশ খুনের চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনে পার্ক স্ট্রিট থানায় মামলা রুজু করেছে।

লালবাজারের এক কর্তা জানান, শুক্রবার বিকেলে মোটরবাইক চালানো নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলমাল বাধলেও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তা মিটে যায়। পরে রাত ১২টা নাগাদ এখলাসকে ডেকে পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। অভিযোগ, এখলাস এলে ৩০-৪০ জনকে সঙ্গে নিয়ে সোনা সেখানে পৌঁছে গুলি চালায়। পুলিশের অনুমান, সোনার সঙ্গে এখলাসের পূর্ব পরিচিতি ছিল। শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দু’-তিন রাউন্ড গুলি চলেছে। তবে পুলিশের অনুমান, এক রাউন্ড গুলি চলেছে।

এ দিন এখলাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেই তাঁর বাবা সিকন্দরের পোশাক তৈরির কারখানা। সেটির দেখাশোনা করেন এখলাস। সিকন্দর বলেন, ‘‘ছেলে কাল রাতে বাড়ি ফেরেনি। উল্টোডাঙা যাওয়ার কথা বলেছিল। সকালে জানতে পারি, ওর গুলি লেগেছে।’’ তবে কারা গুলি চালিয়েছে, তা তিনি জানেন না বলেই দাবি সিকন্দরের।

উল্লেখ্য, রবিবার কসবায় শাসকদলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষের জেরে গুলি চলে। ওই ঘটনায় সাত
জনকে আগেই ধরেছিল পুলিশ। শনিবার ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্ত দিনু যাদবও। তবে তার সহযোগী চাল বিশু এখনও অধরা। এর সাত দিনের মধ্যে ফের গুলি
চলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। লালবাজারের একাংশের অভিযোগ, বার বার গুলি চলার ঘটনা গুন্ডা দমন শাখার ব্যর্থতা। তবে লালবাজারের কর্তারা কিছু বলতে চাননি।

আরও পড়ুন
Advertisement