CV Ananda Bose

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আরও এক শ্লীলতাহানির নালিশ! অভিযোগকারিণী নৃত্যশিল্পী, অনুসন্ধান রিপোর্ট নবান্নে

লালবাজার অভিযোগকারিণীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করে। সেই অনুসন্ধান সংক্রান্ত রিপোর্টই মুখবন্ধ খামে নবান্নের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে জমা দিল লালবাজার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ১৩:৩৮
Kolkata police submit a report to nabanna on harassment case

সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে আরও একটি শ্লীলতাহানির অভিযোগের অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে। সূত্রের খবর, বছরখানেক আগে এক নৃত্যশিল্পী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে লালবাজারে জানান। সম্প্রতি ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে কলকাতা পুলিশ একটি রিপোর্ট নবান্নে জমা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মচারী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সূত্রের খবর, রাজভবনের অন্দরে শ্লীলতাহানির অভিযোগের অনেক আগেই এই অভিযোগটি জমা পড়েছিল।

Advertisement

সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের জুন মাসে নয়াদিল্লির এক হোটেলে রাজ্যপাল বোস তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ করেন এক ওডিশি নৃত্যশিল্পী। অভিযোগ, রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা করার জন্য ওই নৃত্যশিল্পীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নয়াদিল্লির এক বিলাসবহুল হোটেলে তাঁর জন্য ঘর বুক করা হয়েছিল। রাজ্যপালের এক আত্মীয় ওই বুকিং করেছিলেন বলে দাবি।

অভিযোগকারিণীর কথায়, গত বছর ৫ এবং ৬ জুন শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছিল। কলকাতায় ফিরে ওই নৃত্যশিল্পী লালবাজারে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী, সাংবিধানিক পদে থাকা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও রকম তদন্ত করতে পারে না। তাই লালবাজার অভিযোগকারিণীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করে।

সেই অনুসন্ধান সংক্রান্ত রিপোর্টই নবান্নের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে জমা দিল লালবাজার। তবে মুখবন্ধ খামে দেওয়া রিপোর্টে কী আছে, তা জানা যায়নি।

অন্য দিকে, গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও জানান তিনি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। শনিবার অনুসন্ধানের প্রাথমিক রিপোর্ট তদন্তকারী অফিসারেরা কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের কাছে জমা দেন।

শ্লীলতাহানির অভিযোগকে হাতিয়ার করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রী বোসের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন। চুপ বসে নেই রাজ্যপালও। রাজ্যপাল অবশ্য প্রথম থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘অশুভ উদ্দেশ্যে’ই এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনকি, রাজভবনের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল, ‘‘সংবিধানের ৩৬১ (২), (৩) ধারা অনুযায়ী, কোনও রাজ্যপাল নিজের পদে থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে দেশের কোনও আদালতে ফৌজদারি তদন্তপ্রক্রিয়া চলতে পারে না।’’ পাশাপাশি এ ব্যাপারে রাজভবনের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি যেন কোথাও মুখ না খোলেন, তা-ও জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। এই আবহেই অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।

Advertisement
আরও পড়ুন