প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে আদালতে হাজির করানো হয় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। — ফাইল ছবি।
বিচার বিভাগীয় হেফাজত শেষে বুধবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বিচার ভবনে আনা হয় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কোর্ট লক আপে ঢোকানোর মুখে শান্তনুর বাড়িতে মেলা ৩৪৬ জন প্রার্থিতালিকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে শান্তনু বলেন, ‘‘আমার আত্মবিশ্বাস আছে। আগামী দিনের জন্য অপেক্ষা করুন।’’ প্রসঙ্গত, শান্তনুকে ১৯ জুন পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ইডি চার্জশিটে দাবি করেছে, শান্তনুর শোয়ার ঘর থেকে একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছে। তাতে ৩৪৬ জনের নাম রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষ ওই তালিকা তৈরি করেছিলেন, তদন্তে তা জানতে পেরেছে বলে ইডির দাবি। ১৭ জেলার ৩৪৬ জন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীর নাম আছে ওই তালিকায়।
পাশাপাশি, ইডি চার্জশিটে দাবি করেছে যে, কুন্তল রাজনৈতিক সুবিধার জন্য শান্তনুকে ১ কোটি দিয়েছিলেন। তা নিয়ে শান্তনুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “সব প্রমাণ হবে, আইনের উপর আস্থা আছে।” কী প্রমাণ হবে এবং সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় কে তা জানতে চাওয়া হলে শান্তনু বলেন, “সহযোগিতা করুন, সঠিকটা প্রমাণ হবে।” ইডি চার্জশিটে আরও দাবি করেছে, অয়ন শীল কুন্তলের কথায় সন্তুকে ২৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। বেহালার সন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও ইডি চার্জশিটে দাবি করেছে।
গত ১০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন হুগলির প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু। পরে তৃণমূল তাঁকে বহিষ্কার করে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের কর্মী শান্তনু কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বলে দাবি করেছে ইডি। ইডির অভিযোগ, চাকরি বিক্রি করে এত বিপুল অর্থ আয় করেছেন শান্তনু। ধৃত শান্তনুর পিছনে কে বা কারা ছিলেন, চাকরি বিক্রি করার টাকা শান্তনুর কাছে কী ভাবে আসত, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে ইডি।