Calcutta High Court

চটকলের পিএফ-মামলা: কোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ

বিচারপতি এ দিন মামলার কেস ডায়েরি দেখতে চান। তদন্তকারী অফিসার কী কী জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন, তা-ও দেখতে চান। রফিকুল সেই সব উত্তরও আদালতকে জানান।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:৫৩
calcutta high court

কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

হাওড়ার চটকলের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল হেয়ার স্ট্রিট থানা। এই মামলায় কলকাতা পুলিশের পাঠানো দু’টি তলবি নোটিসও শুক্রবার খারিজ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মামলায় সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও) এবং ইডিকে তদন্তভার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ ছিল, এ ব্যাপারে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এসএফআইও অভিযোগ জানাবে এবং তার ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর রুজু করবে। সেই এফআইআর নিয়ে তদন্ত করবে ইডি ও এসএফআইও।

Advertisement

এ দিন মামলার শুনানিতে এসএফআইও জানায়, হেয়ার স্ট্রিট থানা ওই মামলায় তাদের দুই অফিসারকে তলব করেছে। এর পরেই হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসি-কে ডেকে পাঠান বিচারপতি। ওসি ছুটিতে থাকার ফলে তদন্তকারী অফিসার রফিকুল হাসান কোর্টে হাজিরা দেন। এই মামলায় ইডি এবং এসএফআইও-কে তদন্ত করতে বলা সত্ত্বেও কেন কলকাতা পুলিশ সাক্ষী হিসাবে এসএফআইও-র দুই অফিসারকে তলব করেছে তার ব্যাখ্যা চান তিনি। রফিকুল জানান যে, তাঁকে ওসি এই মামলার তদন্তভার দিয়েছেন। তিনি ৯ ফেব্রুয়ারি সেই দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ওসির নির্দেশেই তিনি ওই দু’জনকে সাক্ষী হিসেবে তলব করেছিলেন। ওসি না বললে তিনি নোটিস পাঠাতেন না।

বিচারপতি এ দিন মামলার কেস ডায়েরি দেখতে চান। তদন্তকারী অফিসার কী কী জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন, তা-ও দেখতে চান। রফিকুল সেই সব উত্তরও আদালতকে জানান। রফিকুল দাবি করেন যে, হাই কোর্টের নির্দেশে এফআইআর করা হয়েছে। তাই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। পুলিশ সূত্রের দাবি, আদালতের নির্দেশ বুঝতে কোথাও ভুল হয়েছিল। তার ফলেই এই জটিলতা তৈরি হয়। অন্যথায় এ ভাবে তদন্তে তারা নামত না।

হাওড়ার ডেল্টা চটকলে প্রাপ্য পিএফ না পেয়ে কয়েক জন শ্রমিক কোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় জানা যায়, প্রায় ২১ কোটি টাকা পিএফ-এর নামে তোলা হলেও তা জমা পড়েনি। এর পরেই সংস্থার পাঁচ জন ডিরেক্টরকে তলব করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁরা এসে জানান, মাসিক ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ডিরেক্টর হয়েছেন। সংস্থা পরিচালনা নিয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। এর পরেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের ভার দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে চটকলের মালিকপক্ষ ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানান। তবে ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখে।

আরও পড়ুন
Advertisement