Howrah Jawan Death

কাশ্মীরে রহস্যমৃত্যু বাঙালি জওয়ানের! ‘আমার স্বামী নিজেকে শেষ করেননি’, তদন্ত চান স্ত্রী

শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের কানুপাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়নগরের বাড়িতে সিআরপিএফ জওয়ান বরুণ দাসের মৃত্যুর খবর পৌঁছেছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৯

রহস্য দানা বাঁধছে কাশ্মীরে বাঙালি সিআরপিএফ জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে। পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা করেননি ওই জওয়ান। তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুবিচারের আর্জিও জানিয়েছে তারা।

Advertisement

শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের কানুপাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়নগরের বাড়িতে সিআরপিএফ জওয়ান বরুণ দাসের মৃত্যুর খবর পৌঁছেছিল। স্ত্রী বিজলি দাস জানান, কন্ট্রোল রুম থেকে ফোন করে বরুণের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। পরিবারকে জানানো হয়, বরুণ নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। এই দাবি মানতে রাজি নন বরুণের স্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, বাড়িতে সবই ঠিক ছিল। মানসিক অশান্তির কোনও কারণ ছিল না। কাজের চাপও তো ছিল না। ১৯ বছর কর্মজীবনে আগেও অনেক কঠিন জায়গায় কর্মরত ছিলেন বরুণ। তখন কিছু হয়নি, এখন হঠাৎ করে কী এমন হল, এই প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। বরুণ আত্মহত্যা করতে পারেন না বলেই বিশ্বাস বিজলির।

পরিবার সূত্রে খবর, ১৯ বছর আগে আধা সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বরুণ। ধাপে ধাপে তাঁর পদোন্নতিও হয়। দিন চারেক আগেই হেড কনস্টেবল পদে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। সে দিন সেনাছাউনিতে মিষ্টিও বিতরণ করেছিলেন। বরুণ কর্মরত ছিলেন শ্রীনগরের বরগ্রামে। সেখান থেকে রোজই স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হত। বিজলি জানান, শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদও বরুণের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। স্বামীকে জানিয়েছিলেন যে, মেয়ে স্কুলে ভাল রেজাল্ট করেছে। পাশাপাশি স্কুলের ফি জমা দেওয়া নিয়েও তাঁর কথা হয়। এর পর বিকেল ৪টে নাগাদ আচমকাই কন্ট্রোল রুম থেকে ফোন করে জানানো হয় যে বরুণ নাকি আত্মহত্যা করেছেন।

বিজলি বলেন, ‘‘এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হোক। আমরা একটা ছোট্ট মেয়ে আছে। আমি এখন কী করব বুঝতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি, আমাদের সুবিচারের ব্যবস্থা করুন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement