সাঁকরাইলের আন্দুল প্রভু জগৎবন্ধু কলেজের বাইরে এস এফ আই ও টি এম সি পি সমর্থকদের হাতাহাতি। নিজস্ব চিত্র।
২০১০ সালে সাঁকরাইলের জগদ্বন্ধু কলেজে এসএফআই ও টিএমসিপির সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল স্বপন কোলে নামে কলেজের এক ছাত্রনেতার। তাঁর মৃ্ত্যুদিবসে ওই কলেজেই স্মারকলিপি দিতে এসে ঝামেলায় জড়ালেন টিএমসিপি ও এসএফআই সদস্যরা। সোমবার সকালে কলেজের সামনে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই। টিএমসিপি-র অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ মানেনি এসএফআই।
অবিলম্বে কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, কলেজের ভর্তির ফি কম করা-সহ একাধিক দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিতে এ দিন আন্দুল স্টেশনের সামনে থেকে মিছিল করে প্রভু জগদ্বন্ধু কলেজে আসেন এসএফআই সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন এসএফআই-এর যুগ্ম সর্বভারতীয় সহ সম্পাদক দীপ্সিতা ধর। প্রথমে তাঁরা কলেজ ভবনের বাইরে স্বপন কোলের শহিদ বেদিতে মালা দেন। তারপরেই স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার পথে তাঁদের বাধা দেন কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা।
তখন গেটের বাইরে থেকে স্লোগান দিতে থাকেন এসএফআই সমর্থকরা। আর ভিতর থেকে পাল্টা স্লোগান তোলে টিএমসিপিও। বেশ কিছুক্ষণ এই পরিস্থিতি চলার পরে এসএফআই সমর্থকরা কলেজের সামনের রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপরে তাঁরা কলেজের বাইরের দেওয়ালে আটকানো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পোস্টার ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ। তারপর তাঁরা কলেজ ছেড়ে বেরিয়ে যান।
বিষয়টি দেখতে পেয়ে ক্ষোভ জানায় টিএমসিপি। রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য তুষারকান্তি ঘোষের ক্ষোভ, ‘‘কলেজে স্মারকলিপি দিতে এই কলেজের কোনও ছাত্র-ছাত্রী আসেননি। এসএফআই বহিরাগতদের নিয়ে এসেছিল। আমরা সংযত থাকায় কোনও অশান্তি হয়নি। বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’’
এসএফআই-এর যুগ্ম সর্বভারতীয় সহ সম্পাদক দীপ্সিতা ধরের কথায়, ‘‘এই কলেজে কি টিএমসিপি-র পতাকা ছাড়া ঢোকা যাবে না? আমরা গণতান্ত্রিক ভাবে ৬ দফা দাবি জানাতে চেয়েচিলাম। সেটা হল না।’’ তবে পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
এই প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রতকুমার রায় বলেন, ‘‘স্মারকলিপি দেওয়ার বিষয়টি আমাকে আগাম জানানো হয়নি। এছাড়া কলেজে একটি পরীক্ষা চলছিল। তাই ওঁদের ঢুকতে দেওয়া যায়নি।’’