Pandua Cooperatives election

সমবায়ের নির্বাচনে সব আসনেই হারল তৃণমূল

দু’টি আসনে শাসক শিবির প্রার্থী দিতে না পারায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে মঞ্চ। বাকি ১০টি আসনে শনিবার ভোট হয়। সব ক’টিতেই হারেন তৃণমূলপন্থী প্রার্থীরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৩৯
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

পান্ডুয়া: ১২-০।

Advertisement

খেলার ফল নয়। হুগলির পান্ডুয়ার ইটাচুনা-খন্যান পঞ্চায়েতের মান্দারণ ইটাচুনা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে এই ব্যবধানে বিরোধীদের কাছে হেরেছেন তৃণমূল প্রভাবিত প্রার্থীরা। সমবায় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল প্রভাবিত প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই হয় সিপিএম সমর্থিত ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’-এর প্রার্থীদের। দু’টি আসনে শাসক শিবির প্রার্থী দিতে না পারায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে মঞ্চ। বাকি ১০টি আসনে শনিবার ভোট হয়। সব ক’টিতেই হারেন তৃণমূলপন্থী প্রার্থীরা।

পান্ডুয়ার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেনের মন্তব্য, “মেহনতি মানুষের জয়। প্রান্তিক চাষিরা ভোট দিয়ে প্রগতিশীল শক্তিকে জিতিয়ে নিজেদের হাত শক্ত করেছেন। তৃণমূল নানা জায়গায় গা-জোয়ারি করলেও এখানে পারেনি বলেই হেরেছে।”

ইটাচুন-খন্যান পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস জোট। পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১০টি, সিপিএমের আটটি, কংগ্রেসের তিনটি। অন্যটি নির্দলের। তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটে এখানে খারাপ ফলের পরেও সংগঠন গুছিয়ে তোলা যায়নি। উল্টে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চোরা স্রোত থেকেই গিয়েছে। তার প্রতিফলন এই সমবায়ের ভোটে।

ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুল ইসলাম ফোন ধরেননি। মোবাইল-বার্তারও জবাব দেননি। তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “সমবায় ভোটে ব্লক সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন। আমি মন্তব্য করব না।” তৃণমূল বিধায়ক রত্না দে নাগ বলেন, “সমবায় নির্বাচনে হার নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করব।”

Advertisement
আরও পড়ুন