প্রচারে উলুবেড়িয়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মদনমোহন মণ্ডল। — নিজস্ব চিত্র।
৪৫ বছর ধরে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়ে এসেছেন তিনি। মাঝে হেরেছিলেন মাত্র এক বার। এ বারও মানুষ তাঁকেই ভোট দেবেন। জয়ের ব্যাপারে ‘সুনিশ্চিত’ হয়ে এমনটাই জানালেন উলুবেড়িয়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মদনমোহন মণ্ডল।
মদনমোহন উলুবেড়িয়ার তুলসিবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। এখন বয়স ৭৫ বছর। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় শুরু থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন এবং জিতেও আসছেন মদনমোহন। এ বারও উলুবেড়িয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে তুলসিবেড়িয়া এলাকা থেকে তৃণমূলের প্রার্থী মদনমোহন। ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত হাওড়া জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি।
ছাত্রাবস্থায় রাজনীতি শুরু করেন মদনমোহন। প্রথমে ছাত্র পরিষদ করতেন। স্কুলের চাকরি ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭৮ সালে প্রথম বার উলুবেড়িয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। ওই বছর পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধী দলের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেতা মদনমোহন। এর পর ১৯৮৩ সাল থেকে ১৫ বছর তিনি তুলসিবেড়িয়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল দু’বার পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন।
১৯৯৮ সালে তৃণমূল প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি দলের সঙ্গে যুক্ত। তখন তিনি তুলসিবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন তিনি। তুলসিবেড়িয়া পঞ্চায়েতের জয়ী কংগ্রেস প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে কখনও গ্রাম পঞ্চায়েত, কখনও পঞ্চায়েত সমিতি, কখনও বা জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসাবে লড়েছেন। মদনমোহন ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত সমিতিতে সামান্য ভোটে হেরে যান। ওই এক বারই। এই মুহূর্তে দলীয় কর্মীদের নিয়ে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন মৃদুভাষী, সদা হাস্যময় মদনমোহন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় চালু হওয়া জনমুখী প্রকল্পগুলির কথা মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনার কথাও বলছেন। প্রচারের ফাঁকে মদনমোহন বলেন, ‘‘মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যে উনন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চলছে, এলাকার মানুষ তার ভূয়সী প্রশংসা করছেন। সেই সঙ্গে আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে এলাকায় এসে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন, তাতে অভিভূত এলাকার বাসিন্দারা। আমি নিশ্চিত এ বারও গ্রামবাসীরা আমাকে জয়ী করবেন।’’