রক্ষণাবেক্ষণের কাজেই সাময়িক অসুবিধা, দাবি

পুজোর মুখে ফিরল লোডশেডিং, দুর্ভোগ

জিরাট পঞ্চায়েতের প্রধানের অভিযোগ, প্রায়ই ২-৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। মানুষের সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েতেও কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:১৭
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কয়েক মাস আগে প্রবল গরমের সময় ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছিল হুগলির নানা প্রান্তে। এখন সেই দহন নেই। তবে, পুজোর মুখে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সেই ছবি অল্পবিস্তর ফিরেছে। নাকাল হচ্ছেন মানুষ। কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, পুজোর মুখে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য এই পরিস্থিতি। ‘সাময়িক’ এই সমস্যা শীঘ্রই মিটবে।

Advertisement

মাসখানেক ধরে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, সুরাহা চেয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা-সহ প্রশাসনের নানা দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন বলাগড় ব্লকের জিরাট পঞ্চায়েতের প্রধান তপন দাস। বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং নিয়ে জেলা বিদ্যুৎ দফতরের রিজিয়োনাল ম্যানেজার কিঙ্কর সিংহের বক্তব্য, পুজোর সময় যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য কাজ চলছে। ওই কাজের জন্য সেই জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘‘এই কাজ প্রায় সম্পন্ন। আশা করছি, শনিবার থেকে সমস্যা হবে না।’’

জিরাট পঞ্চায়েতের প্রধানের অভিযোগ, প্রায়ই ২-৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। মানুষের সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েতেও কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ওই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় গভীর নলকূপ থেকে জল তোলা বা অন্য কাজে অসুবিধা হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন অসুস্থ বৃদ্ধবৃদ্ধা। স্কুলের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।

তপন বলেন, ‘‘আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি দেখার জন্য বিদ্যুৎ দফতরে আবেদন জানিয়েছি।’’ বিডিও (বলাগড়) নীলাদ্রি সরকার জানান, বিষয়টি জেলা বিদ্যুৎ দফতরে জানানো হয়েছে। কিঙ্কর সিংহের দাবি, পুজোর কারণে যে কাজ চলছে, তাতে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টি মাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জিরাটে বিদ্যুৎ সরবরাহে অন্য কোনও সমস্যা আছে কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।

পান্ডুয়ার বিভিন্ন এলাকাতেও মাঝেমধ্যে ঘণ্টাখানেক বিদ্যুৎ থাকছে না বলে এলাকাবাসী জানান। বিশেষত সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে এই পরিস্থিতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পান্ডুয়া কার্যালয় সূত্রের বক্তব্য, এই ব্লকে বারোয়ারি এবং বাড়ি নিয়ে চারশোর বেশি দু্র্গাপুজো হচ্ছে। রাস্তার ধারে আলোর তোরণ হয়। সেই কারণে এলাকাভিত্তিক কিছু কাজ করতে হচ্ছে, যাতে পুজোর সময় বিপত্তি না ঘটে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই কাজ করতে হচ্ছে। তবে, পুজোর সময়ে লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা কম বলে বিদ্যুৎ-কর্তাদের বক্তব্য।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দফায় দফায় লোডশেডিং হয়েছে চুঁচুড়াতেও। খদিনা মোড়, হুগলিঘাট, ব্যান্ডেল, কাপাসডাঙা প্রভৃতি এলাকায় এই সমস্যা হয়। শুক্রবার সকালে লোডশেডিংয়ের জেরে কয়েকটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহে সমস্যা হয়। চন্দননগরের কিছু এলাকাতেও একই পরিস্থিতি হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement