Theft

নবান্নের কাছে ফাঁকা বাড়িতে অবাধে চুরি, প্রশ্নে পুলিশি নিরাপত্তা

এ বারের ঘটনাস্থল রাজ্যের প্রধান সচিবালয় নবান্ন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। লক্ষাধিক টাকা সমেত চুরি গিয়েছে সোনার গয়না, বাসনপত্র, জামাকাপড়। এমনকি, বাড়ির বিগ্রহের জামাকাপড়ও নিয়ে গিয়েছে চোরেরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৯

—প্রতীকী চিত্র।

ফের ফাঁকা বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। এ বারের ঘটনাস্থল রাজ্যের প্রধান সচিবালয় নবান্ন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। লক্ষাধিক টাকা সমেত চুরি গিয়েছে সোনার গয়না, বাসনপত্র, জামাকাপড়। এমনকি, বাড়ির বিগ্রহের জামাকাপড়ও নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। এই নিয়ে গত ছ’মাসে হাওড়ার বিভিন্ন থানা এলাকায় অন্তত পাঁচ থেকে ছ’টি ফাঁকা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটল। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশি নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার শিবপুরের অম্বিকা কুণ্ডু লেনের বাসিন্দা প্রবীর মুখোপাধ্যায় ও অঞ্জনা মুখোপাধ্যায় মাস তিনেক আগে চেন্নাইয়ে ছেলের কাছে গিয়েছিলেন। রবিবারেই তাঁদের ফেরার কথা ছিল। ওই দম্পতির জামাই রাতুল বসু জানান, যেহেতু শ্বশুর-শাশুড়ি এত দিন ছিলেন না, সে কারণে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সঞ্চালী মুখোপাধ্যায় মাঝেমধ্যে বাড়িতে ঘুরে যেতেন। রবিবার প্রবীরদের ফেরার কথা থাকায় শনিবারও রাতুলেরা বাড়িতে এসেছিলেন। তখনই তিনি দেখেন, সব দরজার তালা ভাঙা। সমস্ত আলমারি ভাঙা। জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মেঝেতে।

এর পরেই রাতুল শিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুরো ঘটনা জানান শ্বশুর-শাশুড়িকেও। শনিবার রাতেই পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। এ দিন সকালেও হাওড়া সিটি পুলিশের একটি দল প্রবীরদের বাড়িতে আসে।

রাতুল বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়ির কাছেই নবান্ন। তাই ভেবেছিলাম, এই এলাকায় অন্তত পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। চুরি, লুটপাট হবে না। কিন্তু এখন দেখছি, আমার সেই ধারণা ভুল।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা বার বার নাগরিকদের বলেছি, বাড়ি ফাঁকা রেখে কোথাও গেলে স্থানীয় থানায় জানিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু অনেকেই তা করেন না। এই ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে অভিযুক্তেরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement