Howrah Station

নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ বাজেয়াপ্ত, ধৃত ওষুধের দোকানের দুই মালিক

হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন আনাজের বাজার বা মাছের বাজারে অবাধে মাদক, মদ বিক্রি হয় বলে এর আগেও বহু বার অভিযোগ উঠেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:১৫
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

হাওড়া স্টেশন চত্বর যে ক্রমাগত নেশার জিনিস বিক্রির জায়গা হয়ে উঠছে, তা ফের সামনে এল। স্টেশনের কাছেই, দূরপাল্লার বাস স্ট্যান্ডের উল্টো দিকে মুখরাম কানোরিয়া রোডে একটি ওষুধের দোকানে সোমবার দুপুরে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ও সিরাপ উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ওষুধের দোকানের দুই মালিক বিজয়প্রকাশ গোয়েল ও অনুকুমার গোয়েলকে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন আনাজের বাজার বা মাছের বাজারে অবাধে মাদক, মদ বিক্রি হয় বলে এর আগেও বহু বার অভিযোগ উঠেছে। শাসক শ্রেণির মদতপুষ্ট, এলাকার কিছু দুষ্কৃতী এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে আগে থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজারের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ওই চত্বরে নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির অভিযোগ এই প্রথম।

পুলিশ জানায়, এ দিন গোপন সূত্রে খবর আসে, মুখরাম কানোরিয়া রোডের ওই ওষুধের দোকানটি থেকে বিনা প্রেসক্রিপশনে ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। যে সব ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলি মূলত নার্কোটিক ড্রাগস গোত্রের। এর পরেই গোলাবাড়ি থানার পুলিশ এক ব্যক্তিকে ক্রেতা সাজিয়ে ওই
নিষিদ্ধ ওষুধ কেনার জন্য দোকানটিতে পাঠায়। ওই যুবক বিনা প্রেসক্রিপশনে নিষিদ্ধ ওষুধ কেনার পরেই সাদা পোশাকের পুলিশ দোকান ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করে।

হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ওই দোকানে টানা তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ১৫৮০ বোতল ১০০ মিলিলিটারের ফেনসিডিলের মতো নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ। এ ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ৫৭৯ গ্রাম নিষিদ্ধ নেশার ট্যাবলেট। নেশাগ্রস্তেরা ওই দোকান থেকে
এই সব ওষুধ কিনে নেশা করতেন বলে জানা গিয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে,
ধৃত দুই দোকান মালিকের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এত নিষিদ্ধ ওষুধ কী ভাবে ওই দোকানে এল, কারা এর সরবরাহকারী, সে সব দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন