Murder Case in Hooghly

কুড়িয়ে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র নাড়াচাড়ার সময়েই গুলিবিদ্ধ স্ত্রী? হুগলির খুনে পুলিশের নজরে ‘পিস্তল-রহস্য’

অভিযুক্ত যুবক কী ভাবে পেলেন ওই আগ্নেয়াস্ত্র? পুলিশি জেরায় এক এক বার তিনি এক এক ধরনের দাবি করছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে তিনি বলছেন বুধবারই কুড়িয়ে পেয়েছেন পিস্তলটি। আবার পরে দাবি করেছেন, মাস দুয়েক আগে পেয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কোন্নগর শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৩
(বাঁ দিকে) ধৃত অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ বারুই এবং মৃত গৃহবধূ মৈত্রী বারুই (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ধৃত অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ বারুই এবং মৃত গৃহবধূ মৈত্রী বারুই (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

হুগলির কোন্নগরে স্ত্রীকে গুলি করে খুনের অভিযোগে বুধবার গভীর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। বাড়ির মধ্যেই স্ত্রীকে গুলি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ধৃত প্রসেনজিৎ বারুইয়ের থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেটি একটি দেশি ২ এমএম পিস্তল। অভিযুক্তের বাড়িতেই রাখা ছিল আগ্নেয়াস্ত্রটি। কিন্তু পেশায় রাজমিস্ত্রি প্রসেনজিতের কাছে কী ভাবে এল ওই আগ্নেয়াস্ত্র? পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে এক এক সময়ে এক এক রকম দাবি করেছেন অভিযুক্ত। প্রথমে তিনি দাবি করে‌ছিলেন, বুধবারই আগ্নেয়াস্ত্রটি পুকুর থেকে পেয়েছিলেন। পরে আবার দাবি করেন, মাস দুয়েক আগে একটি বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রটি পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, বুধবার সেটি নাড়াচাড়া করার সময়েই গুলি বেরিয়ে যায়।

Advertisement

অভিযুক্তের পরিবার সূত্রের খবর, বছর সাতেক আগে বিয়ে হয়েছিল মৈত্রী ও প্রসেনজিতের। প্রেম করেই বিয়ে। দু’জনের সুখের সংসার ছিল বলেই দাবি করেছেন মৃতার শ্বশুরের। তবে অভিযুক্ত বা তাঁর পরিবারের দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখছে পুলিশ। বিশেষত জেরার সময় আগেয়াস্ত্রের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে অভিযুক্ত দু’বার দু’রকম দাবি করেছেন। সে ক্ষেত্রে কোন দাবিটি সত্যি, সেটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশের তদন্তকারী দল। পাশাপাশি তাঁদের দাম্পত্য জীবন কেমন ছিল, তা-ও পুলিশের তদন্তের আওতায় রয়েছে। অভিযুক্তের কোনও বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

কী কারণে গুলি? সত্যিই কি কুড়িয়ে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র নাড়াচাড়া করতে গিয়ে অঘটন? না কি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? সেই উত্তর খুঁজতে মৃতা এবং তাঁর স্বামী উভয়েরই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। খুনের মামলার অগ্রগতির জন্য এই মোবাইল দু’টি থেকে পাওয়া তথ্য থেকে কোনও সূত্র মিলতে পারে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বুধবার জানিয়েছিলেন, দেহের ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি হবে। পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির কাছে কী ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র এল, সে নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এমন আগ্নেয়াস্ত্র পুকুর থেকে পেলে সেটা ‘লোডেড’ থাকা সম্ভব নয়। আর যদি পেয়েও থাকেন, সেটা পুলিশকে জানাননি কেন? সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।’’

আরও পড়ুন
Advertisement