Hooghly Crime

মগরায় ভাইকে কুপিয়ে খুন! পর ক্ষণেই পলায়ন অভিযুক্ত দাদার, কয়েক ঘণ্টা পর এলাকায় ফিরতেই গ্রেফতার

হুগলির মগরা থানা এলাকায় এক যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ তাঁর দাদার বিরুদ্ধে। শনিবার সকালের ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কী কারণে খুন, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মগরা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৪ ১৬:২১

—প্রতীকী চিত্র।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাইকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মগরা থানা এলাকার সপ্তগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়ায়। মৃত যুবকের নাম রাজেন্দ্র ভগত। বয়স ২৫ বছর। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সিকন্দর ভগত। তিনি সম্পর্কে মৃতের দাদা। স্থানীয় সূত্রের দাবি, শনিবার সকাল দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। বাড়ির সামনেই দুই ভাই বচসায় জড়িয়ে পড়়েছিলেন এবং ক্রমেই পরিস্তিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছিল। অভিযোগ, এরই মধ্যে আচমকা রাজেন্দ্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করেন সিকন্দর।

Advertisement

নিমেষে রক্তাপ্লুত হয়ে পড়েন রাজেন্দ্র। হাতে ও গলায় আঘাত লাগে তাঁর। ভাইয়ের উপর হামলার পরই অভিযুক্ত সিকন্দর এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর পর স্থানীয় বাসিন্দারাই আক্রান্ত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে উদ্যত হন। খবর দেওয়া হয় থানাতেও। এলাকাবাসীরা রক্তাক্ত অবস্থায় রাজেন্দ্রকে কিছু দূর নিয়ে যাওয়ার পর, মগরার বোরোপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেয়। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাজেন্দ্রকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

শনিবার সকালের ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সিকন্দরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাইয়ের উপর হামলা চালানোর পর এলাকা থেকে পালিয়ে গেলেও, পরে আবার ফিরে এসেছিলেন তিনি। বাঁশবেড়িয়ায় বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে মগরা থানার পুলিশ। কী কারণে রাজেন্দ্রর উপর হামলা চালালেন তিনি, সে বিষয়ে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। বাঁশবেড়িয়ায় রাজেন্দ্র ও সিকন্দরের প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রায়শই বিভিন্ন বিষয়ে ঝামেলা লেগে থাকত। তবে শনিবার ঠিক কী কারণে ঝামেলার সূত্রপাত, তা নিয়ে ধোঁয়াশা প্রতিবেশীদের মনেও।

এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ শাহজাদ বলেন, “দু’জনের মধ্যে ছোটখাটো ঝামেলা মাঝেমধ্যেই চলত। অনেক দিন ধরেই এই ঝামেলা চলছে। এ দিন বিষয়টি অনেক দূর গড়িয়ে যায়। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা আমরা জানি না। পুলিশ নিশ্চয়ই সেটি তদন্ত করে দেখবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement