unnatural death

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, ত্রিবেণীতে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার গৃহবধূ

পুলিশ সূত্রে খবর, বলাগড় থানার শেরপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে মগরা থানার ত্রিবেণীর এক গৃহবধূর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। বছর ৩৪-এর বিশ্বজিৎ ভিন্‌রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ত্রিবেণী শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৩৯
representational image

— প্রতীকী ছবি।

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মহিলা। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না তাঁর পুরুষসঙ্গী। এ নিয়ে গোলমালের পরিণতিতে খুন! ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বলাগড় থানা এলাকার শেরপুরে। পুলিশ মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বলাগড় থানার শেরপুর এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে মগরা থানার ত্রিবেণীর এক গৃহবধূর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। বছর চৌত্রিশের বিশ্বজিৎ ভিন্‌রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। পুজোর ছুটিতে দিনদুয়েক আগে ওড়িশা থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। সোমবার দুপুরের খাওয়া সেরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার সকালে ত্রিবেণীর কোচাটি রেলগেটের কাছে বিশ্বজিতের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। মগরা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের গলায় ফাঁসের দাগ ছিল।

বিশ্বজিতের দাদা সমীর বিশ্বাসের অভিযোগ, তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে। সমীর বলেন, ‘‘ত্রিবেণীর বাসিন্দা এক গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভাইয়ের। আমরা বলেছিলাম, পছন্দ হলে বিয়ে করে নাও। মাস তিনেক আগে একবার ওই মহিলা আমাদের বাড়িতে গিয়ে ঝামেলা করেছিলেন। আমার মাকে মারধোর করেছিলেন। খুনেরও হুমকি দিয়েছিলেন।’’

পরিবারের আরও অভিযোগ, টাকার জন্য বিশ্বজিতকে নিয়মিত চাপ দিতেন ওই মহিলা। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ওই গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার স্বামী কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। ইদানীং তিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে দিতে রাজি ছিলেন না বিশ্বজিৎ। নিয়মিত ওই গৃহবধূকে তিনি উত্ত্যক্ত করতেন বলেও পুলিশি জেরায় দাবি করেছেন ধৃত মহিলা। খুনের ঘটনায় গৃহবধূর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত বলে মনে করছে পুলিশ। তবে ঠিক কী কারণে বিশ্বজিৎকে তিনি খুন করলেন, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন
Advertisement