(বাঁ দিকে) বালি ব্রিজ সংস্কারের কাজ চলছে। ব্রিজের উপর দিয়ে হাঁটছেন নিত্যযাত্রীরা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বালি ব্রিজ ও বালি হল্ট স্টেশনে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। শেষমেশ দীর্ঘ হয়রানির পর রেলিং ভেঙে বিকল্প রাস্তা তৈরিতে নামল পুলিশ।
সকাল থেকেই অনেকটা ঘুরপথে রাজচন্দ্রপুর পর্যন্ত যেতে হচ্ছিল অফিসযাত্রীদের। কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে রেলিং পেরিয়ে যাতায়াত করছিলেন। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত বচসাও হয় নিত্যযাত্রীদের। এর পরেই শুরু হয়েছে বালি হল্ট স্টেশনের পাশের কংক্রিটের পাঁচিল ভেঙে বিকল্প রাস্তা তৈরির কাজ। আপাতত গ্যাসকাটার এনে ভাঙা হচ্ছে রেলিং।
এক যাত্রী বলছেন, ‘‘বালি খাল থেকে হাঁটা শুরু করেছি। কোনও গাড়ি নেই। বলা হচ্ছে টোল ট্যাক্স পর্যন্ত যেতে। সেখানে গেলে কোনও বাস পাওয়া গেলেও যেতে পারে।’’ নিত্যযাত্রী আর এক মহিলা বলছেন, ‘‘৪০ মিনিট ধরে হাঁটেছি। শুনেছিলাম খবরটা। কিন্তু এমন ভোগান্তি হবে বুঝিনি।’’
প্রশাসনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, বুধবার থেকে চার দিনের জন্য বন্ধ রাখা হবে বালি ব্রিজ, অর্থাৎ বিবেকানন্দ সেতুর এক দিকের লেন। দক্ষিণেশ্বর থেকে বালিগামী ভারী গাড়িগুলিকে পাশের নিবেদিতা সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতো বুধবার রাত থেকেই সূচি মেনে কাজ শুরু হয়েছে বালি ব্রিজে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের এক দিকের লেন। বালি খাল থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাওয়ার লেনটি খোলা রয়েছে। ওই লেনটিতে শুধুমাত্র বাইক এবং তিন চাকার গাড়ি চলছে। চার চাকা ও বড় গাড়ি চলছে নিবেদিতা সেতু দিয়ে। তবে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দু’চাকা এবং তিন চাকার যান চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। নিবেদিতা সেতু দিয়ে যাতায়াতের কারণে ওই চার দিন বাসের ‘টোল ট্যাক্স’ লাগবে না।