Roof collapsed

সাতসকালে জুটমিলের ছাদ ধসে বিপত্তি, এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার, হাওড়ায় এখনও জারি উদ্ধারকাজ

জানা গিয়েছে, সকালে শ্রমিকদের শিফট পরিবর্তনের সময় আচমকাই কারখানার ছাদের একটি বড় অংশ হুড়মুড় করে ধসে যায়। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৭
চটকলের ছাদের এই অংশ ভেঙেই বিপত্তি হাওড়ায়।

চটকলের ছাদের এই অংশ ভেঙেই বিপত্তি হাওড়ায়। — নিজস্ব চিত্র।

গুদামে আগুনের পর এ বার হাওড়ায় ভেঙে পড়ল চটকলের ছাদের বিরাট অংশ। তাতে কয়েক জন শ্রমিকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও কেউ আটকে রয়েছেন কিনা তা জানতে চলছে তল্লাশি। ছাদ ধসে যাওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েক জন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার মালিপাঁচঘ়ড়া থানা এলাকার ঘুসুড়ির হনুমান চটকলে।

Advertisement

ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৬টা। চটকলের শ্রমিকদের একটি অংশের ডিউটি শেষ। অন্য শ্রমিকরা শিফটের কাজ বুঝে নিচ্ছেন সহকর্মীদের কাছ থেকে। সেই সময় আচমকাই বিকট শব্দে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল চটকলের ছাদের একটি অংশ। তাতে বেশ কয়েক জন শ্রমিকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

বিপর্যয়ের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ। চলে আসে দমকলও। পরিস্থিতি আঁচ করে অকুস্থলে পৌঁছয় বালি এবং লিলুয়া থানার পুলিশও। হাজির হন হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনী এবং পুলিশ শুরু করে উদ্ধারকাজ। ছাদ ধসে বেশ কয়েক জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বুলডোজ়ার এনে চলতে থাকে উদ্ধারের কাজ। এই ঘটনায় মিল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। যদিও কর্তৃপক্ষের কারও দেখা মেলেনি।

কমিশনার প্রবীণ বলেন, ‘‘এ রকম বিপর্যয় ঘটেছে। আশঙ্কা করছি ধ্বংসস্তূপের তলায় কয়েক জন চাপা পড়ে থাকতে পারেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। উদ্ধারকাজ শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।’’

জানা গিয়েছে, হনুমান জুটমিলের পুরনো নির্মাণের উপরেই একটি নতুন নির্মাণের কাজ চলছিল। শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানার মেরামতি এবং সংস্কারের কাজে মিল কর্তৃপক্ষের নজর নেই। এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির দিকেই ইঙ্গিত করছেন শ্রমিকরা। যদিও এ ব্যাপারে মিল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement