Businesses Near Howrah Station

হাওড়া স্টেশন এলাকায় কাদের ব্যবসার ছাড়পত্র নেই, পর্ষদকে জানাতে নির্দেশ

মামলার আবেদনে জানানো হয়েছে, ওই এলাকা এমনিতেই দখলদার-উপদ্রুত। শুধু তা-ই নয়, পর্ষদের তরফে সেখানে একাধিক হোটেল বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:০৪
howrah station.

হাওড়া স্টেশন। —ফাইল চিত্র।

হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার হোটেল ও খাবারের দোকানগুলি থেকে নির্গত অপরিশোধিত তরল বর্জ্যের জেরে ক্রমাগত দূষিত হয়ে চলেছে গঙ্গা। নিকটবর্তী তরল বর্জ্য পরিশোধন প্লান্টের সঙ্গে সেগুলির নিকাশি ব্যবস্থারও কোনও সংযোগ নেই। অর্থাৎ, ন্যূনতম পরিবেশবিধি সেখানে মানা হচ্ছে না। এই মর্মেই জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ওই এলাকায় কতগুলি হোটেল ও খাবারের দোকানের নিকাশি ব্যবস্থার সংযোগ বর্জ্য পরিশোধন প্লান্টের সঙ্গে রয়েছে, তা রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে।

Advertisement

একই সঙ্গে এই অভিযোগও ছিল যে, ওই এলাকায় বহু হোটেল ও খাবারের দোকানের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়াই তারা অবাধে ব্যবসা করে যাচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছে, কত সংখ্যক হোটেল ও দোকান পরিবেশবিধি মানছে, পর্ষদের বৈধ অনুমোদনপত্রই বা কাদের রয়েছে— সে সবও রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে।

মামলার আবেদনে জানানো হয়েছে, ওই এলাকা এমনিতেই দখলদার-উপদ্রুত। শুধু তা-ই নয়, পর্ষদের তরফে সেখানে একাধিক হোটেল বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও সেই সব হোটেল বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘এমন ভাবে হোটেল ও খাবারের দোকানগুলি সব জায়গা দখল করছে যে, সাধারণ যাত্রীদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। সর্বক্ষণ ওই এলাকা ভিড়ে ভিড়াক্কার হয়ে থাকছে।’’

এই মামলায় রাজ্য সরকার, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, পরিবেশ দফতর, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, হাওড়া পুরসভা, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর, ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা-সহ একাধিক পক্ষকে যুক্ত করা হয়েছে। সব পক্ষকেই আদালত আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ অক্টোবর।

আরও পড়ুন
Advertisement