Howrah Murder

হাওড়ায় বধূ হত্যায় ধৃত মেয়ের ‘প্রাক্তন প্রেমিকা’, প্রেমে বাধা দেওয়ায় খুন বলে দাবি পুলিশের

গত ১৬ অক্টোবর রাতে বালি থানা এলাকায় নৃশংস ভাবে খুন হন বধূ। রাত ১২টা নাগাদ বাড়ি ফিরে স্ত্রী দীপা দাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন স্বামী অক্ষয় পাল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৪৭

—প্রতীকী ছবি।

হাওড়ার বালি থানা এলাকার ধর্মতলা রোডে বধূ খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল হাওড়া সিটি পুলিশ। শনিবার তাঁকে হাওড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

গত ১৬ অক্টোবর রাতে বালি থানা এলাকায় নৃশংস ভাবে খুন হন বধূ। রাত ১২টা নাগাদ বাড়ি ফিরে স্ত্রী দীপা দাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন স্বামী অক্ষয় পাল। তিনিই পুলিশে খবর দেন। খবর দিলে বালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে। অক্ষয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে এবং তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে সুন্দরবনের তিনজালি এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম মনোতোষ মণ্ডল। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসিপি নর্থ অনুপম সিংহ জানিয়েছেন, দীপা অক্ষয়ের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। প্রথম পক্ষের তিন মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে মধুমিতার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল মনোতোষের। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।এর জন্য দীপা দায়ী বলে মনে করেছিলেন মনোতোষ। সেই কারণে দীপাকে খুন করেন তিনি। বাংলাদেশে পালিয়ে যাবার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে সুন্দরবন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। সি সি ফুটেজ, ফরেনসিক পরীক্ষা ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে অভিযুক্তের সন্ধান পায় পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement