Mad Dog

দু’দিনে ২৫ জনকে কামড়! উত্তরপাড়ার ‘পাগলা’ কুকুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলল জনতা

স্থানীয় কাউন্সিলর জানান, পুরসভার কুকুর ধরার পরিকাঠামো নেই। তাঁর দাবি, প্রাণী স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি দেখে। প্রশাসনের জন্য অপেক্ষা না করে স্থানীয় বাসিন্দারাই পিটিয়ে মেরে ফেলে কুকুরটিকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ১৮:৪৩
— Representative Image

— প্রতীকী চিত্র।

২৫ জনকে কামড়ে অবশেষে থামল পাগলা কুকুর। থামল বলা ভুল, তাকে পিটিয়ে মারল এলাকাবাসী। ঘটনা হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের। বালিখাল সংলগ্ন এই ওয়ার্ডে গত দু’দিনে অন্তত ২৫ জনকে কামড়েছিল কুকুরটি। কেবলমাত্র বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুকুরের কামড় খান ১০ জন। বাগে পেয়ে সেই কুকুরটিকে পিটিয়ে মারল জনতা।

Advertisement

কেউ টোটো ধরবেন বলে দাঁড়িয়েছিলেন লাইনে। আচমকাই দৌড়ে এল একটি কালো কুকুর। সোজা কামড় পায়ে। আবার বাস ধরতে দৌড় শুরু করার মোক্ষম মুহূর্তেই খেয়ে গেলেন কামড়। উত্তরপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বালিখাল সংলগ্ন এলাকায় লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে, ‘পাগলা কুকুর বেরিয়েছে!’ হাওয়ার বেগে তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। কিন্তু কোনও ভাবেই থামানো যাচ্ছিল না পাগলা কুকুরের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১০ জনকে কামড়ে দেয় কুকুরটি। গত দু’দিনে মোট ২৫ জন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কয়েক দিন ধরে একটি কালো কুকুর মানুষজনকে অকারণে তাড়া করছিল। সুযোগ খুঁজছিলেন স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার কালো কুকুরটিকে বাগে পান এলাকার লোকজন। পিটিয়ে মারা হয় তাকে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে দাপিয়ে বেড়ানোর পর শেষ হয় পাগলা কুকুরের আতঙ্ক। হাফ ছেড়ে বাঁচেন এলাকার বাসিন্দারা।

সত্যবান সাহা নামে এক টোটোচালক বলেন, ‘‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রথমে এক টোটোচালককে কামড়ায়। তার পর ১০ যাত্রীকেও কামড়ে দেয়। চিকিৎসার জন্য আহতদের উত্তরপাড়া হাসপাতালে ও স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যেতে হয়।’’

পুরসভার কাউন্সিলরকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান বাসিন্দারা। স্থানীয় কাউন্সিলর সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, পুরসভার কুকুর ধরার পরিকাঠামো নেই। তাঁর দাবি, প্রাণী স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি দেখে। কিন্তু প্রশাসনের জন্য অপেক্ষা না করে স্থানীয় বাসিন্দারাই পিটিয়ে প্রাণীটিকে মেরে ফেলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement